কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ

কুড়িগ্রামে শীতের দাপট, জনজীবন বিপর্যস্ত

শীতের তীব্রতায় কুড়িগ্রামে জনজীবন বিপর্যস্ত। ছবি : কালবেলা
শীতের তীব্রতায় কুড়িগ্রামে জনজীবন বিপর্যস্ত। ছবি : কালবেলা

কুড়িগ্রামে শীত জেঁকে বসতে শুরু করেছে। রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যমতে, সোমবার (০১ ডিসেম্বর) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় জেলার চরাঞ্চলসহ সর্বত্র শীতের প্রভাব স্পষ্টভাবে অনুভূত হচ্ছে।

১৬টি নদনদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন ৪৬৯টি চরে বসবাসকারী সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে অধিকাংশ পরিবারই তীব্র শীত সহ্য করতে হিমশিম খাচ্ছে। প্রচণ্ড কুয়াশার কারণে সকাল থেকে বিভিন্ন সড়কে যানবাহন চলছে ধীর গতিতে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। অন্যদিকে ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতায় মাঠে গিয়ে স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারছেন না কৃষি শ্রমিকরা। এতে কৃষিকাজ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কাও দেখা দিয়েছে।

চর রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, ‘শীতটা খুব বেশি পড়ছে। ঘরে বাচ্চাদের জন্য গরম কাপড়ের অভাব রয়েছে। রাত জেগে কটি কম্বল দিয়ে কোনো রকমে ঠান্ডা সামলাই।’

কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের বলদি পাড়া গ্রামের হামিদা বেগম বলেন, ‘আমরা নদীর চরেই থাকি। বাতাস’তো এমনিই বেশি। শীত নামার পর থেকে হাঁটাচলা পর্যন্ত কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’

রৌমারীর কৃষি শ্রমিক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সকালে মাঠে যাওয়ার মতো অবস্থা থাকে না। কুয়াশায় হাত-পা জমে আসে। কাজ না করতে পারলে পরিবার চালানোই কঠিন।’

কুড়িগ্রাম জেলা চর উন্নয়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বাবু কালবেলাকে বলেন, সামনে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় পরিস্থিতি আরও কঠিন হতে পারে। তাই এখনই শীতার্ত মানুষের জন্য জরুরি সহায়তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বলেন, জেলার ৯টি উপজেলায় ৫৪ লাখ টাকার শীত বস্ত্র কেনার জন্য বরাদ্দ পেয়েছি। স্থানীয়ভাবে শীতবস্ত্র কিনে দ্রুততম সময়ে শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চলন্ত গাড়ির ছাদে তরুণ-তরুণীর কাণ্ড ভাইরাল

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দিনাজপুরে

সাগরে গভীর নিম্নচাপ, শীত নিয়ে নতুন বার্তা

ডিসেম্বরের এলপি গ্যাসের দাম নির্ধারণ কবে, জানাল কমিশন

টিফিনের টাকায় রাশিয়ান মিগ-২৯ আদলে ‘বিমান’ বানালেন হাসিব 

দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের যুক্ত রেখেই খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে : মির্জা ফখরুল

অক্সিজেন লাগছে খালেদা জিয়ার, প্রস্তুত রাখা হয়েছে আইসিইউ 

বিশ্বের নামিদামি যেসব তারকা দল পাননি বিপিএলে

এশিয়ার বন্যায় ১ হাজার প্রাণহানি, সেনাবাহিনী মোতায়েন

এবার যুদ্ধবিমানে শক্তিশালী হচ্ছে তেহরান, কী কৌশলে এগোচ্ছেন খামেনি

১০

খুলনায় চলছে ৮ দলের সমাবেশ

১১

সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে স্পিডবোট ডুবি, মা-মেয়ের মৃত্যু

১২

মেট্রোরেলের যাত্রী কমলো ১০ শতাংশ : ডিএমটিসিএল এমডি

১৩

‘মানসিক চাপ’ উল্লেখ করে এনসিপি ছাড়লেন রাঙামাটির প্রধান সমন্বয়ক

১৪

পূর্বাচলে শেখ রেহানার প্লট বরাদ্দ বাতিলের নির্দেশ আদালতের

১৫

বোট উল্টে নদীতে ৫২ যাত্রী

১৬

ওজন কমাতে ভাত-রুটি ছাড়তে হবে কি না, বলছেন বিশেষজ্ঞ

১৭

সড়ক নিরাপত্তা আইন জরুরি, বছরে ৫ হাজারের বেশি প্রাণহানি

১৮

হাসিনা-টিউলিপ পৃথিবীর যেখানেই থাকুক বিচারে বাধা নেই : বিচারক

১৯

ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের বাসভবন ঘেরাও

২০
X