

কুড়িগ্রামে শীত জেঁকে বসতে শুরু করেছে। রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যমতে, সোমবার (০১ ডিসেম্বর) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় জেলার চরাঞ্চলসহ সর্বত্র শীতের প্রভাব স্পষ্টভাবে অনুভূত হচ্ছে।
১৬টি নদনদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন ৪৬৯টি চরে বসবাসকারী সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে অধিকাংশ পরিবারই তীব্র শীত সহ্য করতে হিমশিম খাচ্ছে। প্রচণ্ড কুয়াশার কারণে সকাল থেকে বিভিন্ন সড়কে যানবাহন চলছে ধীর গতিতে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। অন্যদিকে ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতায় মাঠে গিয়ে স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারছেন না কৃষি শ্রমিকরা। এতে কৃষিকাজ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
চর রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, ‘শীতটা খুব বেশি পড়ছে। ঘরে বাচ্চাদের জন্য গরম কাপড়ের অভাব রয়েছে। রাত জেগে কটি কম্বল দিয়ে কোনো রকমে ঠান্ডা সামলাই।’
কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের বলদি পাড়া গ্রামের হামিদা বেগম বলেন, ‘আমরা নদীর চরেই থাকি। বাতাস’তো এমনিই বেশি। শীত নামার পর থেকে হাঁটাচলা পর্যন্ত কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’
রৌমারীর কৃষি শ্রমিক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সকালে মাঠে যাওয়ার মতো অবস্থা থাকে না। কুয়াশায় হাত-পা জমে আসে। কাজ না করতে পারলে পরিবার চালানোই কঠিন।’
কুড়িগ্রাম জেলা চর উন্নয়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বাবু কালবেলাকে বলেন, সামনে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় পরিস্থিতি আরও কঠিন হতে পারে। তাই এখনই শীতার্ত মানুষের জন্য জরুরি সহায়তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বলেন, জেলার ৯টি উপজেলায় ৫৪ লাখ টাকার শীত বস্ত্র কেনার জন্য বরাদ্দ পেয়েছি। স্থানীয়ভাবে শীতবস্ত্র কিনে দ্রুততম সময়ে শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।
মন্তব্য করুন