

সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার ৪ দিন পার হলেও খুলনার ৬টি সংসদীয় আসনের অধিকাংশ প্রার্থী এখনো পোস্টার, প্যানা ও বিল বোর্ড অপসারণ করেনি। তপশিল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার, প্যানা ও বিল বোর্ড অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইতোমধ্যে খুলনার সব নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচন কমিশন থেকে মাইকিং করা হলেও সিটি করপোরেশন এসব পোস্টার, প্যানা ও বিল বোর্ড অপসারণে আরও ২৪ ঘণ্টা সময় চেয়েছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে মাঠে নেমেছে জেলা প্রশাসন।
গত ১১ ডিসেম্বর ঘোষণা করা নির্বাচনের তপশিলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব সম্ভাব্য প্রার্থীর পোস্টার, বিল বোর্ড ও প্যানা অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর নিরালা এলাকায় টানানো রয়েছে খুলনা-২ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অ্যাড. শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলালের প্যানা। নিরালা মোড়েও উভয় প্রার্থীসহ হাতপাখা টানানো দেখা যায়। শান্তিধাম মোড়ে, ডাকবাংলো মোড়ে বিশাল বড় প্যানা টানানো রয়েছে ধানের শীষের প্রার্থীর।
এমনকি নগরীর ময়লাপোতা মোড়ের সিটি মেডিকেলের সামনে একাধিক প্যানা না সরিয়ে কালো পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
নিউ মার্কেট এলাকায় বড় বড় বিল বোর্ড রয়েছে খুলনা-৩ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুলের। সেখান থেকে রাস্তার অধিকাংশ স্থানে তার বিলবোর্ড ও প্যানা এখনো টানানো রয়েছে। এ ছাড়া খুলনা-৩ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী এসএম আরিফুর রহমান মিঠুর শাপলা কলির পোস্টারে ছেয়ে গেছে। তার সম্প্রতি নতুন নতুন পোস্টার লাগানো দেখা যাচ্ছে। খুলনা-৩ আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী তানভীর সরদার ইমনের ট্রাক মার্কারও প্যানা এখনো লাগানো আছে।
এদিকে জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে অধিকাংশ প্রার্থীর পোস্টার, প্যানা ও বিল বোর্ড নামানো হয়নি। রায়েরমহল বাজার থেকে ডুমুরিয়া পর্যন্ত রাস্তার অধিকাংশ জায়গা ও অলি-গলিতে ছেয়ে আছে খুলনা-৫ আসনের জামায়াত প্রার্থী অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপি প্রার্থী আলি আজগর লবি, খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মুফতি আব্দুল কাইউম জমাদ্দার, সাবেক ছাত্রনেতা শফি মোহাম্মদ খানের প্যানা ও পোস্টার। খুলনা-১, খুলনা-৩, খুলনা-৪ ও খুলনা-৬ নির্বাচনী এলাকায় অধিকাংশ জায়গায় এবং গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও একই অবস্থা।
খুলনা জেলা প্রশাসক আ স ম জামসেদ খোন্দকার বলেন, সবাইকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সিটি করপোরেশন আমাদের কাছে ২৪ ঘণ্টা সময় বেশি চেয়েছে। নগরীতে রোববার বিকেল থেকে অভিযান শুরু হয়েছে। জেলার ৪টি সংসদীয় আসনেও অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন