

ময়মনসিংহের ভালুকায় পোশাক কারখানার শ্রমিক দিপু চন্দ্র দাসকে (২৭) পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনিয়ে দিপু হত্যা মামলায় ১৯ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গাজীপুরের টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন চেরাগআলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের দাবি, হত্যার পর মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া ওই যুবককে ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার নীবির ইসলাম অনিক (২০) ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা গ্রামের কালিমুল্লাহর ছেলে। তিনি পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস (বিডি) লিমিটেড কারখানার নিটিং অপারেটর ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পর ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায় সাদা শার্ট পরিহিত এক ব্যক্তি দিপুকে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে টেনে তুলছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তদন্তকারী দল নীরবকে শনাক্ত করে। দিপু হত্যার ঘটনার পর থেকে নীরব নিজ কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। তাকে ধরতে নেত্রকোনা, বনানী ও গাজীপুরে অভিযানে পর টঙ্গী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বুধবার বিকেলে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে নীরবকে আদালতে সোপর্দ করার কথা। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য ব্যক্তিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে তদন্ত অব্যাহত আছে।
এর আগে, গ্রেপ্তার ১৮ জনের মধ্যে ১২ জনকে ৩ দিন করে এবং বাকি ৬ জনকে দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১২ আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ৫ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে ভালুকার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের ডুবালিয়াপাড়া এলাকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস (বিডি) লিমিটেড কারখানার কর্মী দিপু চন্দ্র দাসকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে কারখানা থেকে এক কিলোমিটার দূরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় সড়ক বিভাজকের একটি গাছে বিবস্ত্র করে ঝুলিয়ে মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
নিহত দিপু চন্দ্র দাস তারাকান্দা উপজেলার বানিহালা ইউনিয়নের মোকামিয়াকান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। এ ঘটনায় তার ভাই অপু চন্দ্র দাস গত শুক্রবার অজ্ঞাতপরিচয় ১৪০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মন্তব্য করুন