রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এতে দিন দিন এ উপজেলা সৌন্দর্য হারাচ্ছে। বিশেষ করে উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ময়লার স্তূপ জমেছে। এসব থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দা এবং পর্যটকরা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
সম্প্রতি কাপ্তাই উপজেলার জেটিঘাট বাজার, নতুন বাজার, নতুন বাজারস্থ ঢাকাইয়া কলোনী, বরফ কল এলাকা, নতুন বাজার পাবলিক টয়লেট এলাকা, বিএফআইডিসি সংলগ্ন এলাকা, চিৎমরম কিয়াংঘাট, ব্যাঙছড়িসহ বেশকিছু এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, এসব এলাকার বিভিন্ন স্থান ময়লা-আবর্জনায় সয়লাব। উপজেলার বিভিন্ন স্থানগুলোতে জমা ময়লা-আবর্জনা যথাসময়ে পরিষ্কার না করায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ময়লার ভাগাড় পার হওয়ার সময় অনেককে নাকে রুমাল দিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
এলাকাবাসীরা জানান, এসব বর্জ্য ঝড়বৃষ্টিসহ নানাভাবে হ্রদ বা নদীতে গিয়ে পড়ছে। এতে পর্যটন এলাকা হিসেবে খ্যাত কাপ্তাইয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, কাপ্তাই হ্রদ এবং কর্ণফুলী নদীর পানি নষ্ট হচ্ছে। নদী ও হ্রদে মাছের বংশ বিস্তারে বাধাগ্রস্ত এবং বিভিন্ন রোগবালাইয়ের সৃষ্টি হচ্ছে।
কাপ্তাই উপজেলার আবাসিক মেডিকেল অফিসার ওমর ফারুক রনি বলেন, ‘যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলার ফলে এলাকার যেমন সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে তেমনি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে এলাকার শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই। তাই ময়লা-আবর্জনা অপসারণে এবং এলাকার সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
এ ব্যাপারে কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ বলেন, ‘কাপ্তাই ইউনিয়ন এলাকার বিভিন্ন স্থানের ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার জন্য একটি বর্জ্য পরিবহনের গাড়ি ও কিছু ড্রাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মানুষ এসব নিয়মের তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে এলাকাকে নোংরা করছে।’ এলাকার স্বার্থে নিয়ম ভঙ্গকারীদের নিয়ম মানতে প্রয়োজনে বাধ্য করা হবে বলে জানান তিনি।
বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা খন্দকার মাহমুদুল হক মুরাদ বলেন, ‘সংরক্ষিত বনাঞ্চল এলাকায় আবর্জনা ফেলার বিষয়টি নিয়ে উপজেলা সমন্বয় সভায় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
মন্তব্য করুন