পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ভেকু ও মাটি ব্যবসায়ী টুটুল ফসলি জমিতে ভেকু দিয়ে দিনে ও রাতের আঁধারে ফসলি জমিতে নির্বিচারে অনুমোদনবিহীন পুকুর খনন করছেন। আর পুকুর খনন করে তিনি মাটি বিক্রি করছেন। ভূমি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফসলি জমির মাটি বিক্রির মহোৎসবে মেতেছেন তিনি। এতে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ বলে মনে করছে কৃষি সংশ্লিষ্ট সচেতন মহল। উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের দুধবাড়িয়া-বড় পুকুরিয়া গ্রামে ফসলি জমিতে দিনে ও রাতে চলছে এ পুকুর খননের কাজ।
মাটি ব্যবসায়ী ঠিকাদার টুটুলের দাবি, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, ভূমি অফিসের কর্মকর্তা ও থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে তিনি ফসলি জমিতে মাটি কাটছেন এবং তা বিক্রি করছেন।
তবে এলাকাবাসীর দাবি, ফসলি জমিতে অনুমোদনবিহীন পুকুর খনন বন্ধ হওয়া দরকার।
মঙ্গলবার (৬ জুন) সরেজমিনে দুধবাড়িয়া-বড় পুকুরিয়া এলাকায় দেখা যায়, দুধবাড়িয়া-বড় পুকুরিয়া গ্রামের মৃত গোলাপ হাজির ছেলে আদম আলি তার আবাদি প্রায় ৫০ শতাংশ জমিতে ভেকু দিয়ে পুকুর খনন করছেন। ভেকুচালক জানান, এলাকার মাটি ব্যবসায়ী টুটুল তাদের ঘণ্টা চুক্তিতে নিয়ে এসেছেন। জমি খননের অনুমোদনের বিষয়ে তিনি কিছুই বলতে পারবেন না।
গত সপ্তাহখানেক ধরে তারা ফসলি জমিতে ১০ থেকে ১৫ ফুট গভীর করে খনন করে ড্রাম ৭ থেকে ৮টি ড্রাম ট্রাকযোগে বিভিন্ন স্থানে মাটি বিক্রি করছেন। এতে অনুমোদন না নিয়েই ফসলি জমিতে পুকুর খনন এক দিকে সরকারের ভূমি সংরক্ষণ আইনকে যেমন বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হচ্ছে, অন্যদিকে ফসলি জমিও সংকুচিত হয়ে আসছে। তবে মাটি ব্যবসায়ী টুটুল দাবি করেন, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, ভূমি অফিসের কর্মকর্তা ও থানা পুলিশসহ সবার সঙ্গে কথা বলেই তিনি ফসলি জমিতে মাটি কেটে বিক্রি করেছেন। তবে লিখিত কোনো ধরনের অনুমোদনপত্র দেখাতে পারেননি তিনি। এলাকাবাসীর দাবি, ফসলি জমিতে অনুমোদনবিহীন পুকুর খনন বন্ধ করে ফসলি জমিগুলো রক্ষা করা দরকার।
জমির মালিক আদম আলি বলেন, ফসলি জমিতে মাটি কাটা হচ্ছে স্বীকার করে তিনি বলেন, অনুমোদনের বিষয়ে মাটি ব্যবসায়ী টুটুল বলতে পারবেন। অনুমোদনের বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারবেন না।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ফসলি জমিতে মাটি কাটার বিষয়ে তার জানা নেই।
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, ফসলি জমিতে অনুমোদনবিহীন মাটি কেটে পুকুর খনন করার বিধান নেই। খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন