

ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজে ছেলেদের দ্বৈত ইভেন্টে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশের চার জুটি। দেশে আয়োজিত ব্যাডমিন্টন এশিয়ার সূচিভুক্ত একমাত্র জুনিয়র আন্তর্জাতিক আসরে অতীতে এমনটা আগে দেখা গেছে কি না, নিশ্চিত করতে পারলেন না ব্যাডমিন্টন সংশ্লিষ্টরা। এটা নিশ্চিত যে দেশের ব্যাডমিন্টনের জন্য বিষয়টি ইতিবাচক।
চার জুটি বাংলাদেশের হলেও দুটি খেলেছে বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের অধীনে; বাকি দুই জুটি বেসরকারিভাবে গড়ে ওঠা একাডেমির। ব্যাডমিন্টন ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন খেলাটি বিস্তারে কার্যক্রমের ডিজাইন এমনভাবে গড়েছে, যেখানে ব্যক্তিমালিকানায় পরিচালিত একাডেমিকে জাতীয় দলের সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে; কিন্তু কার্যক্রম পরিচালিত হতে হবে সংশ্লিষ্ট দেশের ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের অধীনে। আন্তর্জাতিক আসরের মাধ্যমে নিজেদের কার্যক্রমের জানান দিল দুটি ব্যক্তিমালিকানায় গড়ে ওঠা একাডেমি।
যার একটি এলোরা শাটল একাডেমি, এ প্রতিষ্ঠানের রিয়াদুল ইসলাম-তনয় সাহা জুটি ১৭-২১, ২১-১৪ ও ২১-১৯ ব্যবধানে ইরানের মেহেদী আনসারী-আমিন হোসেন জুটিকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লেখায়। ব্যক্তিমালিকানায় গড়ে ওঠা আরেক একাডেমির প্রতিনিধিত্ব করা তানভীর-গৌরব সিংহ জুটি স্বদেশি আকিব সুলাইমান-শুভ খন্দকার জুটিকে ২৪-২২ ও ২১-১৬ পয়েন্টে হারিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নেয়। নাইম-মিজান জুটি ভিয়েতনামের ডংখে ডংখা-ট্রান হং খা জুটিকে ২২-২৪, ২১-১৪ ও ২১-১৮ পয়েন্টে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে। আল আমিন জুমার-মোয়াজ্জেম হোসেন অহিদুল জুটি ইরানের আমির হোসেন আজমলো-সাইদ আরমিন জাকি জুটিকে ২১-১১ ও ২১-৯ পয়েন্টে হারিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নেয়।
বাংলাদেশের চার জুটির কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লেখানো এবং ব্যক্তিমালিকানায় পরিচালিত দুই জুটির অগ্রগগতি সম্পর্কে এলোরা শাটল একাডেমির কোচ অহিদুজ্জামান রাজু কালবেলাকে বলেন, ‘ব্যাডমিন্টন ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন সরকারি-বেসরকারি সবার অংশগ্রহণের জন্য সমান সুযোগ রেখেছে। যে কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যক্তিমালিকানায় অনেক একাডেমি গড়ে উঠেছে। দিন শেষে একাডেমির মাধ্যমে সাফল্যটা পায় সংশ্লিষ্ট দেশই।’
সাবেক এ শাটলার আরও বলেন, ‘ইতিবাচক দিক হচ্ছে, দেশেও বেসরকারি উদ্যোগে বেশকিছু একাডেমি তৈরি হয়েছে। একাডেমির শাটলাররা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ইতিবাচক ফলও করছেন। এটা দেশের ব্যাডমিন্টন উত্তরণের বার্তা। সব ধরনের সুবিধা পাওয়া গেলে আন্তর্জাতিক আসর থেকে সাফল্য নিয়ে আসবেন আমাদের শাটলাররা।’ রিয়াদুল ইসলাম-তনয় সাহা জুটি সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জও কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল। একই পর্বে পা রেখেছে চলমান বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজেও। তাদের কোচ জানালেন, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় হুট করে সাফল্য পাওয়া যায় না। এজন্য অভ্যাস গড়ে তুলতে হয়। ক্রমেই সে অভ্যাস গড়ছে বাংলাদেশের শাটলাররা।
মন্তব্য করুন