

হাল আমলের সিস্টেমে চলা ক্রীড়াঙ্গনে ‘আর্কাইভাল প্রপার্টি’ বলতে কিছু নেই। কোনো তথ্য যাচাই করার সীমিত যে কয়েকটি মাধ্যম রয়েছে, তার অন্যতম ক্রীড়াজগত। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ প্রকাশিত পাক্ষিক এ পত্রিকাকে নির্ভরযোগ্য আর্কাইভে পরিণত করতে অনেক শ্রম-ঘাম দিয়েছেন মাহমুদ হাসান খান দুলাল; যাকে সবাই দুলাল মাহমুদ নামে চেনেন। চাকরিবিধি মেনে গতকাল কর্মস্থল থেকে অবসরকালীন ছুটিতে গেছেন অভিজ্ঞ এ ক্রীড়া সাংবাদিক।
১৯৯৬ সালের ২ নভেম্বর পাক্ষিক ম্যাগাজিন ক্রীড়াজগতের সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েছিলেন দুলাল মাহমুদ। ১০ হাজার ৬৪৪ দিন পার করে দেওয়ার পর নামের সঙ্গে যুক্ত হতে যাচ্ছে ‘সাবেক’ শব্দ। অবসরকালীন ছুটি শেষ হলে ‘ক্রীড়াজগতের সাবেক সম্পাদক’ হয়ে যাবেন দুলাল মাহমুদ। গতকাল শেষ কর্মদিবসে অভিজ্ঞ ক্রীড়া সাংবাদিকের শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনেকেই ছুটে এসেছিলেন ক্রীড়াজগত কার্যালয়ে।
বিদায়বেলায় দুলাল মাহমুদ স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ক্রীড়াজগত আমার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ক্রীড়াজগত ভালো থাকলে দূর থেকে আমিও শান্তি পাব। আপনারা আমার পরবর্তী জীবনের জন্য দোয়া করবেন এবং ক্রীড়াজগতের পাশে থাকবেন।’
১৯৯৬ সালে সম্পাদকের দায়িত্ব নিলেও লেখালেখির মাধ্যমে পাক্ষিক এ ম্যাগাজিনের সঙ্গে পথচলা শুরু ১৯৮২ সাল থেকে। পরবর্তী সময়ে কাজ করেছেন বাংলার বাণী ও দৈনিক আজাদে। ১৯৯৬ সালে সম্পাদক হিসেবে যোগদানের পর ২৯ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন ক্রীড়া জগত অফিসে।
১৯৭৭ সাল থেকে প্রকাশিত পাক্ষিক ম্যাগাজিন ক্রীড়াজগতে তৌফিক আজিজ খান, বদিউজ্জামান, শামসুদ্দিন মেহেদীর পর চতুর্থ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন দুলাল মাহমুদ। প্রথম তিন সম্পাদক মিলে কাটিয়েছেন ১৯ বছর, দুলাল মাহমুদ একাই কাটিয়ে দিলেন ২৯ বছর।
মন্তব্য করুন