মুন্সিগঞ্জে হিমাগারে বসে থেকে ২৭ টাকা দরে ৩৪ হাজার কেজি আলু বিক্রি করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার চর মুক্তারপুর এলাকার দুটি হিমাগার তদারকি শেষে এসব আলু বিক্রি করা হয়।
মুন্সিগঞ্জ ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক আবদুস সালাম বলেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে খুচরা ও হিমাগার পর্যায়ে আলু বিক্রি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। আজ দুপুরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে চর মুক্তারপুর এলাকার দেওয়ান কোল্ড স্টোরেজ ও মুক্তারপুর কোল্ড স্টোরেজে তদারক করতে যাই।
তিনি আরও বলেন, দুই হিমাগারে বসে ২৭ টাকা কেজি দরে ৬৮০ বস্তা (৩৪ হাজার কেজি) বিক্রি করি। এসব আলু আগোরা, স্বপ্ন, মীনাবাজার, ডেইলি শপিং নামের সুপার শপগুলোর প্রতিনিধিদের কাছে বিক্রি করা হয়।
আবদুস সালাম বলেন, এখন থেকে এই দামে সুপার শপে আলু পৌঁছে দেবেন মুন্সিগঞ্জের ব্যাপারীরা।
অধিদপ্তর সূত্র জানায়, খুচরা বাজারে আলুর দাম লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকে। আলুর বাড়তি এই দাম নিয়ন্ত্রণে ১৪ সেপ্টেম্বর সরকার আলুর দাম খুচরা পর্যায়ে কেজিপ্রতি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা এবং হিমাগার পর্যায়ে ২৬ থেকে ২৭ টাকা বেঁধে দেয়। তবে ব্যবসায়ীরা এই দর না মেনে হিমাগার পর্যায়ে ৩৯ থেকে ৪০ টাকা এবং খুচরা বাজারে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে থাকেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ সেপ্টেম্বর মুন্সিগঞ্জের হিমাগারে পরিদর্শনে আসেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
হিমাগার পরিদর্শন শেষে পরদিন থেকে রসিদের মাধ্যমে ২৬ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে পাইকারি এবং খুচরা বাজারে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা দর আলু বিক্রির নির্দেশ দেন।
এছাড়া বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেন মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে। এর ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে হিমাগার ও বাজার তদারক শুরু করে অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন। শহর ও ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ট্রাকে করে ভোক্তাদের জন্য সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে আলু বিক্রি শুরু হয়।
মন্তব্য করুন