চর রাজিবপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:৩৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
কুড়িগ্রামে নদীভাঙন

ভিটেমাটি ও বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন ফসলের জমি বাঁচাতে মানববন্ধন

নদীভাঙন ঠেকাতে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে শতাধিক মানুষের মানববন্ধন। ছবি : কালবেলা
নদীভাঙন ঠেকাতে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে শতাধিক মানুষের মানববন্ধন। ছবি : কালবেলা

নদীভাঙন রোধে মানববন্ধন করেছে কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের বাসিন্দারা।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ভাঙনকবলিত এলাকা পাইকান্টারি পাড়ার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে কয়েক শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে উপস্থিত সবার একটাই দাবি, নদীভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া। যাতে ভিটেমাটি কিংবা তাদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন ফসলের জমি হারিয়ে আর কোনো মানুষকে সর্বস্বান্ত না হতে হয়।

মানববন্ধনে আসা শহিদুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক দিনে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে প্রায় ১৫টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সেইসঙ্গে ফসলের ক্ষেত ভেঙে গেছে কয়েক একর। আমরা সরকারের কাছে রিলিফ সাহায্য চাই না, আমরা চাই নদীর একটা স্থায়ী ব্যবস্থা করুক।

ফরিদুল ইসলাম বলেন, নদীভাঙন আমাদের কোদালকাটির সবচেয়ে বড় সমস্যা। প্রতি বছর ভাঙনে এ এলাকার শত শত বাড়ি নদীতে চলে যায়। বারবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও ভাঙন রোধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না।

এলাকাবাসী জানান, বন্যার পানি কমে যাওয়ার পর গত এক মাস থেকে ব্রহ্মপুত্র নদে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের পরিমাণ ধীরে ধীরে বেড়েই চলেছে। এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে নদীর পাশেই দুটি প্রাইমারি স্কুল, একটি হাইস্কুল, বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এখানে পরিদর্শনে এসেছিলেন। নদীভাঙন রোধে আশ্বাস দিলেও এখনো কোনো কাজ হয়নি।

নদীভাঙনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কোদালকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ছক্কু বলেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর আমার এলাকার ৩ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য চরসাজাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হুমকির মুখে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে যে কোনো সময় স্কুলটি নদীতে চলে যাবে। পাউবোকে জিও ব্যাগ দেওয়ার কথা বললেও এখনো দেয়নি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কোদালকাটির কিছু এলাকায় প্রতিরক্ষার কাজ করা হয়েছে, আবার কিছু কাজ এখনো চলমান। বরাদ্দ পেলেই বাকি কাজগুলো শুরু করবো। ওই এলাকায় স্থায়ী সুরক্ষা প্রকল্পের জন্য আমরা সমীক্ষা ও প্রক্কলন তৈরির কাজ করছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে হাসিনার বিরুদ্ধে ৫ অভিযোগ

আ.লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের নিবন্ধন বাতিলের আবেদন গণঅধিকার পরিষদের

‘টুম্পার মা নয়, আমার মা-ই সবচেয়ে ভালো!’

থামছেই না পদ্মার ভাঙন

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় শ্রমিকের মৃত্যু

ঢাবিতে কয়রা ছাত্রদের সংগঠন ডুসাকের নতুন কমিটি

বাকশাল সিপিবির বিচার চান এনসিপি নেতা তুহিন

আইপিএলে ফিরতে চাচ্ছেন না অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা

আন্তর্জাতিক নার্স দিবস আজ

সারা দেশে শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস 

১০

জরুরি বৈঠকে বসেছেন মোদি, উপস্থিত ৩ বাহিনীর প্রধান

১১

গাজা যুদ্ধের সমাধান খুঁজছে জার্মানি

১২

বিমানবন্দরে সোনারগাঁও আ.লীগের সহসভাপতি গ্রেপ্তার

১৩

চিকিৎসক না থাকায় ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

১৪

ভেলপুরি খেয়ে হাসপাতালে শিশুসহ শতাধিক

১৫

আফগানিস্তানে দাবা খেলা নিষিদ্ধ

১৬

ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসছিল নিখোঁজ ২ ভাইয়ের মরদেহ

১৭

আবারও রেকর্ডের পথে রেমিট্যান্স

১৮

দালালদের দখলে কুয়াকাটা বিদ্যুৎ অফিস

১৯

চেনাব নদীর বাঁধ খুলে দিল ভারত, পাকিস্তানে বন্যার শঙ্কা

২০
X