বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৩, ০৩:৩২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কোরবানি ঈদকে ঘিরে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারদের

ব্যস্ততা বেড়েছে কামারদের। ছবি : কালবেলা
ব্যস্ততা বেড়েছে কামারদের। ছবি : কালবেলা

ঈদুল আজহার আর মাত্র কয়েকটি দিন বাকি। এখন তড়িঘড়ি চলছে কোরবানির প্রস্তুতি। তার মধ্যেই বেড়েছে কামারদের ব্যস্ততা। একদিকে কোরবানির পশু কেনায় ব্যস্ত স্বচ্ছল পরিবারগুলো, অন্যদিকে প্রায় কয়েকগুণ বেশি সমানুপাতিক হারেই দা, বটি, ছুরি কিংবা কোরবানি পশু কাবু করার অস্ত্র তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কামাররা।

ঈদ আসার ১০-১৫ আগের থেকেই এই ব্যস্ততা বাড়ে। চলে ঈদের আগের শেষ রাত পর্যন্ত। সরেজমিনে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার হাটে বেশ কয়েকটি কামার দোকানে ঘুরে দেখা গেছে আগের তুলনায় কাজ বেড়েছে কামারদের। অথচ সারা বছরই তাদের কাটে অলস সময়।

দোকান ভাড়া, দোকানে পণ্য সামগ্রির জন্য খরচ করা পুঁজি সব কিছু নিয়েই কোরবানির ঈদের জন্য একান্ত চিত্তে অপেক্ষার প্রহর গুণে কামার দোকানের কর্মচারীরা। পুরো বছর অত্যন্ত নিম্ন আয়েই তাদের কাটাতে হয় দিন। কেউ কেউ পাইকারি পণ্য দিয়ে কিছুটা অলস সময়ে নিজেদের ব্যস্ত রাখার ও চেষ্টা করেন।

দোকানিরা বলছেন, ঈদ আসায় তাদের ব্যস্ততা অনেক বেড়েছে। আগে হয়তো সকাল ১০টায় দোকান খুলতো। রাত গড়াতেই দোকান বন্ধ করা হতো। তবে ঈদ মৌসুমে সকাল ৮টা থেকেই তাদের কর্মযজ্ঞ শুরু হয় আর চলে মধ্য রাত পর্যন্ত। এমনকি ঈদের আগের রাতেও তারা সারারাত পর্যন্ত জেগে কাজ করতে হয়। এ সময়ে কিছুটা মোটাদাগে ইনকাম কমবেশি সবারই হয়।

জানা যায়, সব কিছু মিলিয়ে ঈদ মৌসুমে মংলা কর্মকারে আয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজারের মতো। তবে দিন প্রতি তার ৩-৬ হাজার টাকার মতো উপার্জন হয়। অনেকের আবার এর চেয়ে কম বা বেশিও হতে পারে।

দোকানদার বিপ্লব কর্মকার জানান, প্রতিটি ছোট ও বড় ছুরি ধারালো করার কাজে কামাররা মজুরি নিচ্ছেন ৩০-৫০ টাকা। কেউ কেউ ৫০-১০০ করেও নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। আবার একটি বটি কিনতে ক্রেতাদের ৩০০-৪০০ টাকার অংক গুনতে হয়। আর বড় ছুরি কিনতে লাগে ৬০০-৭০০টাকা।

একই সঙ্গে একটি তৈরিকৃত নতুন দা কিনতেও সমপরিমাণ অর্থ গুনছেন ক্রেতারা। তবে টাকার অংক ঈদ মৌসুমে বেড়ে বা কমে যাওয়ার বিষয়ে সতর্ক কামাররা। কাজ অনুযায়ীই তারা মজুরি আদায় করেন। সময়ভেদে অর্থ বাড়িয়ে নেন না বলেই স্বীকার করছেন তারা।

দেখা যায়, প্রায় সব কামারের দোকানেই লোহার সামগ্রী থরে থরে সাজানো। ক্রেতাদের অনেকে আবার নিজস্ব ধাতব পদার্থ নিয়ে আসছেন দা-বটি তৈরি করতে। কেউবা নিচ্ছেন কিনে। তবে দা বটির চাহিদা থাকা সারা বছরই।

কোরবানি ঈদের আগ মুহুর্তে দা-বটির কেনাবেচা বাড়লেও নতুন মাত্রা যোগ করে নানা আকারের ছুরি, ধামা, রামদা ইত্যাদি সামগ্রী। সারা বছর বিক্রি না হওয়ায় ছুরি, ধামা, রামদা ইত্যাদি অল্প দাম হলেও ছেড়ে দেন বলেই জানা গেছে।

এদিকে দেখা গেছে, আগে প্রতি বস্তা কয়লা কামাররা ১০০ টাকায় কিনতেন। বর্তমানে বস্তা প্রতি সেই কয়লা তারা কিনছেন ৩ হাজার টাকায়। যদিও তার সঙ্গে মজুরিও বাড়ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভূমিকম্প / জবি ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা

ইবির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের নতুন ডিন ড. আব্দুস শাহীদ

সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিয়ে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বৈঠক

সাংবাদিকদের ওপর হঠাৎ কেন ক্ষুব্ধ সোহেল রানা

‘তৌহিদি জনতার’ সঙ্গে বাউল শিল্পীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, আহত ৪

ভূমিকম্প ঝুঁকি / গ্যাস কূপ খনন কার্যক্রম বন্ধ

তরুণদের নিয়ে প্লাস্টিকমুক্ত ভবিষ্যৎ গড়ার অভিযানে ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’

না ফেরার দেশে সাবেক খেলোয়াড় ও আম্পায়ার

সময় বাড়ল রিটার্ন দাখিলের, দেবেন যেভাবে

জাতিসংঘ-বাংলাদেশ-মালদ্বীপের সমন্বিত উদ্যোগে অভিবাসী কল্যাণে নতুন সম্ভাবনা

১০

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির মৃত্যু

১১

বুলবুলকে ‘বাংলার এরদোয়ান’ বললেন সাদিক কায়েম

১২

ফেনীকে নতুন করে গড়তে চাই, সুযোগ দিন : মঞ্জু

১৩

৪৭তম বিসিএস / শাহবাগে পরীক্ষার্থীদের অবস্থান, যান চলাচল বন্ধ

১৪

ভূমিকম্পে এক ভবনে হেলে গেল আরেকটি ভবন, এলাকায় আতঙ্ক

১৫

যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে বিশ্ববাজারে বড় বিপদে ভারত

১৬

‘আয়ারল্যান্ডকে অভিনন্দন, দারুণ ব্যাটিং করেছে তারা’

১৭

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ল

১৮

ভূমিকম্প আতঙ্ক : জবিতে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ

১৯

পদ্মার চর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

২০
X