শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৯ এএম
আপডেট : ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৫৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ
টানা বর্ষণ

কিশোরগঞ্জে ভেসে গেছে সাড়ে ৬ হাজার পুকুরের মাছ

কিশোরগঞ্জে কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণে ভেসে গেছে বহু পুকুরের মাছ। ছবি : কালবেলা
কিশোরগঞ্জে কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণে ভেসে গেছে বহু পুকুরের মাছ। ছবি : কালবেলা

কিশোরগঞ্জে গত দুই দিনের টানা ভারী বর্ষণে ৬ হাজার ৬৪১টি পুকুর ও ফিশারির প্রায় ৩৭ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। অবকাটামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৬ কোটি টাকার। এতে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন জেলার সাড়ে ৩ হাজার মাছ চাষি। ভেসে যাওয়া মাছের মধ্যে শিং, পাবদা, রুই, কাতল, পাঙ্গাসসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রয়েছে বলে জানান মাছ চাষিরা।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টায় কিশোরগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় মোট সাড়ে তিন হাজার মৎস্য চাষির ৬ হাজার ৬৪১টি পুকুর ও ফিশারি তলিয়ে গেছে। এতে প্রায় সাড়ে ১৮শ’ মেট্টিক টন মাছ ভেসে গেছে। যার বাজার মূল্য ৩৭ কোটি ৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। এ ছাড়াও পুকুর ও ফিশারির অবকাটামোগত প্রায় ৬ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে অবকাটামো ও মাছের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জেলার কটিয়াদী উপজেলা ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা। তার মধ্যে কটিয়াদী উপজেলায় ১ হাজার ৯২৫টি পুকুর ভেসে গেছে।

সাকি নামে এক মৎস্য চাষি জানান, ‘এক রাতের বৃষ্টিতেই আমার দুই ফিশারি ডুবে গিয়েছে। পাড় ডুবে উপর দিয়ে পানি যাচ্ছে। প্রতিটি ফিশারিতে প্রায় তিন/চার লাখ টাকার মতো মাছ ছিল।’

আমিন সাদী নামে এক খামারি জানান, ‘আমার ২৫ শতাংশের একটি ফিশারি ছিল। রাতের বৃষ্টিতে ফিশারির পাড় তলিয়ে সব মাছ চলে গিয়েছে। আমার প্রায় ৫০ হাজার টাকার মত ক্ষতি হয়েছে। আমাদের সাবেক চেয়ারম্যান মনসুর আলীর ৩৬ কাটা জমির বড় ফিশারি ছিল এটাসহ সব তলিয়ে গেছে। এ ছাড়াও এলাকার সকল ফিশারি তলিয়ে গিয়েছে। আমাদের মতো প্রান্তিক মাছ চাষিদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। সরকার যদি আমাদেরকে প্রণোদনার ব্যবস্থা করে তাহলে হয়তো আমরা কিছুটা দাঁড়াতে পারবো।’

মহিনন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী জানান, ‘আমার কয়েকটি ফিশারির পাড় তলিয়ে গিয়েছে। এতে আমার প্রায় ৫০ লাখ টাকারমতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমার মতো এলাকার সবার ফিশারিই ডুবে গিয়েছে। এতে কমবেশি সবাই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, ‘ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের তালিকা করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। বরাদ্দ এলে উপজেলা কমিটির মাধ্যমে চাষিদের পুনর্বাসন করা হবে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইরাকের সরকার গঠনে বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র

লেবাননে ইসরায়েলি ড্রোন হামলা

আগামী সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনকে শান্তি পরিকল্পনা মানতে হবে: ট্রাম্প

ভেড়ামারায় দুর্বৃত্তের গুলিতে গরু ব্যবসায়ী নিহত

রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি তুষার, সম্পাদক হাবীব

ভূমিকম্পে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ৪১ জন আহত

ক্যারিয়ার শেষে কত উইকেট চান জানালেন তাইজুল

 ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করতে রাজউকের তাৎক্ষণিক পরিদর্শন

মেসিকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে যা বললেন ফ্লিক

গৌহাটি টেস্টের আগে ভারত শিবিরে দুঃসংবাদ

১০

শনিবার বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

১১

এই প্রজন্মে অন্ধ আনুগত্য, ভাই পলিটিক্স চলবে না : শিবির সভাপতি

১২

নাটকীয় জয়ের পরও নিজের ভুলে হতবাক আকবর

১৩

স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান : প্রধান উপদেষ্টা

১৪

নিউমার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ 

১৫

ভূমিকম্পে ছেলের পর এবার চিকিৎসাধীন বাবার মৃত্যু

১৬

তারেক রহমানের জন্মদিনে ৫ হাজার মানুষকে উপহার দিলেন যুবদল নেতা

১৭

জামায়াতের নাড়িপোতা পাকিস্তানে : মাহমুদ হাসান 

১৮

ঐক্যবদ্ধভাবে পরস্পরের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান গণসংহতির

১৯

তারেক রহমান : ইতিহাসের অগ্নিপথ পেরিয়ে জাতির প্রত্যাশার শিখরে

২০
X