ঢাকার সাভারে দাফনের ২২ দিন পর আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য মো. জামাল গোলদার নামের এক ব্যক্তির লাশ কবর থেকে তোলা হয়েছে। রোববার (৮ অক্টোবর) সকালে সাভার পৌরসভার ঘাসমহল এলাকার আল বেদা বাইতুল নূর জামে মসজিদ কবরস্থান থেকে লাশটি তুলে মর্গে পাঠায় পুলিশ।
এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রাসেল ইসলাম নূর ও সাভার মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (ইন্টিলিজেন্স) মো. আব্দুল্লাহ বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
নিহত জামাল গোলদার (৫৩) সাভারের দক্ষিণ রাজাশন এলাকার মৃত ফরিদ গোলদারের ছেলে। তিনি পেশায় একজন জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী ছিলেন। পাশাপাশি তার একটি গরুর খামারও ছিল।
পুলিশ জানায়, নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই মো. ইমরান গোলদারের দায়ের করা হত্যা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দাফনের ২২ দিন পর আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বাদী ও নিহতের ছোট ভাই ইমরান গোলদার কালবেলাকে বলেন, ‘গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে আমার ভাইকে আমাদের প্রতিবেশী ফোরকান হাকিম ফোন করে তার বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রাত ১২টার দিকে আমার কাছে ফোন আসে আমার ভাই নাকি অসুস্থ হয়ে গেছে। পরে আমি সেখানে গিয়ে দেখি আমার ভাই অজ্ঞান হয়ে পরে আছে। এ সময় ওই বাড়ির লোকজন আমাকে বলে আমার ভাই স্ট্রোক করেছেন। পরে আমার ভাইকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
ইমরান গোলদার আরও বলেন, ‘ঘটনার তাৎক্ষণিকতায় কোনোকিছু না বুঝেই আমার ভাইকে দাফন করা হয়। তবে ঘটনার পর থেকে ফোরকান হাকিমের বাড়ি তালাবদ্ধ দেখতে পেয়ে আমাদের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তাই আমরা মনে করছি, আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা গত ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে গিয়ে একটি মামলা করি। পরে আজ আদালত থেকে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য বলা হয়।’
সাভার মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (ইন্টিলিজেন্স) আব্দুল্লাহ বিশ্বাস বলেন, ‘জামাল গোলদার হত্যা মামলায় তার ছোট ভাইয়ের দায়ের করা মামলায় প্রতিবেশী ফোরকান হাকিম (৪৮), লোকমান হাকিম (৫১), গোফরান হাকিম (৪৫) ও কাঞ্চন শীয়ালি ওরফে দ্বীন মোহাম্মদ (৫৫) নামে ৪ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আদালত নিহত জামালের লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’
মন্তব্য করুন