দুই দিনের টানা বর্ষণে ময়মনসিংহের নান্দাইলে আকস্মিক বন্যায় ভেসে গেছে ২০ একর পুকুরে কোটি টাকার দেশীয় মাছ। উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের টঙ্গীচর গ্রামের মৎস্য চাষি মো. খলিলুর রহমানের ৮টি পুকুর পানিতে তলিয়ে যাওয়া সব মাছ বেরিয়ে গেছে। এতে সম্বল হারিয়ে এখন দিশাহারা খলিলুর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টঙ্গীচর গ্রামের নিজ বাড়ির সামনে ২০০ কাঠা জমি তথা ২০ একর জমিতে স্থাপিত ৮টি পুকুরে দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করে আসছেন খলিলুর। অল্প পুঁজিতে দেশীয় মাছ চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছিলেন তিনি। তার চাষকৃত মাছ এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হতো। কিন্তু অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় তার সব স্বপ্ন ধুয়ে মুছে গেছে। তার চাষকৃত সবকটি পুকুর পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় অবাক তাকিয়ে থাকেন মৎস্য খামারের দিকে।
সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, টঙ্গীচর বিল ও বিলের আশপাশ গ্রামের ফসলি ধান জমি এখনও ৬ ফুট পানির নিচে রয়েছে। ৮টি পুকুরের পাড় ৬ থেকে ৭ ফুট পানির নিচ পড়ে আছে। তবে প্রতিটি পুকুরের পাড়ে জালের বেড়া দিয়ে মাছ রক্ষা করতে চেয়েছিলেন চাষি খলিলুর রহমান। কিন্তু শেষ চেষ্টায় রক্ষা হয়নি। ২০ একর জমিতে চাষকৃত এক কেজি ওজনের মাছ থেকে শুরু করে প্রায় ৬ থেকে ৭ কেজি ওজনের প্রায় এক কোটি টাকা মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। তবে খলিলুর বেরিয়ে যাওয়া মাছগুলো নিজ পুকুরের ফেরানোর আশায় প্রতিদিনই প্রতিটি পুকুরের মাঝখানে খাবার দিয়ে আসছেন।
এ বিষয়ে খলিলুর রহমান বলেন, আকস্মিক বন্যায় আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আমার কোটি টাকা পানিতে ভেসে গেছে। পুনরায় মৎস্য চাষ করে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্থিক সহায়তা প্রার্থনা করছি।
নান্দাইল উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শাহনাজ পারভীন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষিদের তালিকা করে সরকারের কাছে প্রণোদনার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি দেব।
মন্তব্য করুন