জগন্নাথপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ জুন ২০২৩, ০৬:৫৩ পিএম
আপডেট : ২১ জুন ২০২৩, ০৭:৪৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে বন্যার আশঙ্কা

বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বাড়ছে নলজুর নদীর পানি। ছবি : সংগৃহীত
বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বাড়ছে নলজুর নদীর পানি। ছবি : সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বৃষ্টি না হলেও ভারতে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পাহাড়ি ঢল নামছে নলজুর নদীতে। এতে রানীগঞ্জ হয়ে বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যে বন্যার আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী হাসান গাজী জানিয়েছেন, পাহাড়ি ঢলে নদীতে ৪৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, ভারতের পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে। ফলে জগন্নাথপুর নলজুর নদীর পানি বাড়ছে। আগামী দুই দিন পানি কিছুটা বাড়বে। এ ছাড়া জগন্নাথপুর সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানির চাপ বাড়ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, পাহাড়ি ঢলে জগন্নাথপুরের নদ-নদী ও হাওরগুলোতে পানি বেড়েছে।

গত বৃহস্পতিবার থেকে হঠাৎ করে পাহাড়ি ঢল নামতে শুরু করে। দীর্ঘ দাবদাহের কারণে হাওরগুলো পানিশূন্য থাকায় এতদিন বন্যার তেমন শঙ্কা ছিল না। এ ছাড়া এভাবে দু-এক দিন পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বন্যার কবলে পড়বে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল।

জগন্নাথপুর পাউবো বলছে, সুনামগঞ্জে জগন্নাথপুর নদীর পানি বেড়ে আজ বুধবার জগন্নাথপুর নদীর বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার ওপরে পানি প্রবাহিত হয়। মাত্র ৪৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৬০ মিলিমিটার। নদীতে এখনো পানি বাড়ছে।

জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা রমিজ আলী বলেন, গত বছরের বন্যা ভুলতে পারছি না। এবার পানি এলে আমাদের ক্ষতি হবে। কালকে থেকে আজকে অনেক পানি বেড়েছে।

জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও গ্রামের বাসিন্দা বানু দাস বলেন, কুশিয়ারা নদীর অবস্থা ভালো না। যেভাবে পানি বাড়ছে, এখন পানি এলে গরু, বাছুর রাখার জায়গা থাকবে না।

জগন্নাথপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী হাসান গাজী বলেন, বৃষ্টিপাতের মাত্রাটা বর্তমানে বেড়ে গেছে। আজ একটু কম রয়েছে। জগন্নাথপুর নলজুর নদীর পানির প্রবাহ বাড়লে বন্যা হতে পারে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে হত্যা

নির্বাচনের তপশিল নিয়ে সভা রোববার

পদোন্নতি পেয়ে সহযোগী অধ্যাপক হলেন ১২০ চিকিৎসক

ছেলেকে দেখার আকাঙ্ক্ষা নিয়েই চলে গেলেন গুম হওয়া ছাত্রদল নেতার বাবা

পূজা পরিষদ ও পূজা কমিটির মতবিনিময় / সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় নির্বাচনের আগে-পরে এক মাস সেনা মোতায়েনসহ ৯ দাবি

‘এনসিপি সরকারে গেলে প্রাইভেট সেক্টরেও শুক্র-শনিবার ছুটি ঘোষণা করব’

নিজ ফ্ল্যাটেই মিলল নিখোঁজ স্কুল শিক্ষিকার লাশ

শিক্ষক সমাজই হচ্ছে একটি জাতির ভিত্তি : মান্নান

কোন দেশের হাতে বিশ্বকাপ দেখতে চান গার্দিওলা?

মহানবীকে নিয়ে কটূক্তি, জাবি শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার

১০

কড়াইলের দুর্গতদের পাশে আনসার-ভিডিপির ৯ দিনের মানবিক সেবা কার্যক্রম সমাপ্ত

১১

স্টার্কের দাপটে ব্রিসবেনে হারের পথে ইংল্যান্ড

১২

নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে ‘রোকেয়া রান’ অনুষ্ঠিত

১৩

ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

১৪

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

১৫

বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে যা বললেন জয়শঙ্কর

১৬

বাংলাদেশে আর কারও দাদাগিরি চলবে না : ডা. শফিকুর রহমান

১৭

যেভাবে এশিয়ার সবচেয়ে দুর্বল মুদ্রায় পরিণত হলো ভারতীয় রুপি

১৮

আইপিএল নিলামে বিদেশি ক্রিকেটারদের জন্য দুঃসংবাদ

১৯

রাত জাগার অভ্যাসে অজান্তেই যে ক্ষতি করছে, বিশেষজ্ঞের সতর্কবার্তা

২০
X