শীতকালীন সবজি আবাদে জমি প্রস্তুতের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার সবজি চাষিরা। কেউ হাতে কোদাল ও নিড়ানি, কারো হাতে বীজ। আবার ক্ষেতের মাটিতে জৈবসার মিশিয়ে কেউ কেউ জমি প্রস্তুত করছেন, কেউবা বীজ বপন করছেন কোনো কোনো জমিতে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ব্রাহ্মণপাড়ায় কোনো কোনো কৃষক সম্প্রতি আবাদ করা সবজির ক্ষেত পরিচর্যা করছে।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ওই উপজেলায় এ বছর মোট ৩২০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের শীতকালীন সবিজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আবহাওয়া সবজি চাষের অনুকূলে থাকলে এ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সবজি আবাদ হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সবজির মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার সবজি চাষিরা শীতকালীন সবজি আবাদের লক্ষ্যে জমি প্রস্তুত ও বীজ বপনের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এসব সবজির মধ্যে বাঁধাকপি, ফুলকপি, মূলা, করলা, লাল শাক, পালংশাক, শিম, টমেটো, বেগুন, লাউ, শসা, মিষ্টি কুমড়া, বরবটি, ডাটা, চিচিঙ্গা, ক্যাপসিকাম, পটোল, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন জাতের সবজি রয়েছে।
উপজেলার টাকুই এলাকার সবজি চাষি আবুল কাশেম জানান, তিনি এবার ২১ শতক জমি সবজি চাষের জন্য প্রস্তুত করেছেন। এই জমিতে বাঁধাকপি ও ফুলকপি চাষ করবেন তিনি। এ ছাড়া অন্য মাঠে আরও ১৭ শতক জমি প্রস্তুত করা আছে তার। ওই জমিতে মরিচ, ডাঁটা ও টমেটো চাষ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ বছর প্রকৃতি অনুকূলে থাকলে এসব সবজি চাষে লাভবান হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উপজেলার বেজুড়া এলাকার সবজি চাষি হারিছ মিয়া বলেন, গত কিছুদিনের টানা বৃষ্টির আগে আমার ২৬ শতক জমিতে বিভিন্ন জাতের সবজি আবাদ করেছিলাম। এগুলো অতি বৃষ্টির কারণে নষ্ট হয়ে গেছে। একই জমি আবারও আমি সবজি চাষের জন্য প্রস্তুত করছি। খুব শিগগিরই এতে বীজ বপন করব।
মহালক্ষীপাড়া এলাকার সবজি চাষি সোহেল রানা বলেন, সবজি চাষের জন্য আবহাওয়া বর্তমানে ভালো আছে। এ বছর আমি ১৫ শতক জমিতে লালশাক আবাদ করেছি। ২৪ শতকের অন্য আরেকটি জমিতে ক্যাপসিকাম আবাদ করেছি। আশা করছি এ বছর সবজির উৎপাদন ভালো হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহবুবুল হাসান বলেন, এখন শীতকালীন সবজি আবাদে আবহাওয়া অনুকূলে আছে। আশা করছি বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছর শীতকালীন সবজির ফলন ভালো হবে। সবজি আবাদে কৃষক লাভবান হবেন। সুপরামর্শ নিয়ে উপজেলা কৃষি অফিস প্রান্তিক কৃষকদের পাশে আছে।
মন্তব্য করুন