কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৪৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চাকরি ফিরে পেলেন সেই ইমাম, ইউএনওর দুঃখ প্রকাশ

চাকরিতে যোগদান করলেন কুমিল্লার ইমাম মাওলানা আবুল বাশার। ছবি : কালবেলা
চাকরিতে যোগদান করলেন কুমিল্লার ইমাম মাওলানা আবুল বাশার। ছবি : কালবেলা

চাকরি হারানোর দুদিন পর কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে চাকরি ফিরে পেয়েছেন কুমিল্লার লালমাই উপজেলার ভাটরাকাছারী কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আবুল বাশার।

রোববার (১৫ অক্টোবর) থেকে তিনি মসজিদে ইমামতি শুরু করেন। চাকরি ফিরে পাওয়ার পর প্রথম ওয়াক্তে নামাজ সেই ইমামের পেছনে আদায় করেছেন আলোচিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফোরকান এলাহী অনুপম।

রোববার সন্ধ্যায় ওই মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ পারভেজ হোসেন ও ইমামের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তার কার্যালয়ে যান ইউএনওর তোপের মুখে পড়া সেই ইমাম। এ সময় সেখানে উপস্থিত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বডুয়া, লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফোরকান এলাহী অনুপম, জেলা ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্থানীয় পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল্লাহ, স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার গোলাপ হোসেন, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি কারি আবদুর রশিদ, সেক্রেটারি জহিরুল ইসলামসহ, কেন্দ্রীয় ও জেলার আলেমরা।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইমাম ও মুয়াজ্জিন ঘটনার পুরো ঘটনার বিবরণ দেন। ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য শুনে জেলা প্রশাসক ইউএনওকে ইমামের কাছে দুঃখ প্রকাশ করতে বলেন।

এ সময় ইউএনও সরি বলে ওই ইমামের সঙ্গে কোলাকুলি করেন। পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইমামকে নিজের মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর ঘটবে না বলে আশ্বস্ত করেন।

কুমিল্লা জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি হাফেজ মিজানুর রহমান বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইমামের ঘটনাটি সমাধান হয়েছে। জেলা প্রশাসক রোববার মাগরিব থেকে ইমামকে নামাজ পড়াতে বলেছেন। কেউ হুমকি-ধমকি দিলে জেলা প্রশাসককে অবহিত করতে বলেছেন। সমাধানের পর ইউএনও নিজের গাড়িতে করে ইমামকে নিয়ে ওই মসজিদে গেছেন।’

মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল বাশার বলেন, ‘নামাজ শুরুর আগে ইমামের পেছনে মুয়াজ্জিন থাকে। তখন পেছনে অন্য একজনকে দেখে একটু সরতে বলি। পরে জানতে পারলাম ওনি ইউএনও। তখন আমি ওনার কাছে সরি বলি। এরপর স্থানীয় একজন চেয়ারম্যান ও ইউএনও তার পাঠানো লোকের বরাত দিয়ে আমাকে চাকরিচ্যুত করার বিষয়টি জানান। এ বিষয়টি নিয়ে রোববার বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আমাদের নিয়ে বসা হয়। ইউএনও বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। পরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমি মসজিদে ইমামতিতে যোগদান করি। আমি ডিসির তাৎক্ষণিক এমন ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কপ৩০ সম্মেলনে আলোচনায় কী থাকছে

এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১৬ অক্টোবর

চমেক হাসপাতালে এসি বিস্ফোরণ

সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার সমীকরণ মেলাতে বাংলাদেশের সামনে যত সিরিজ

এ ঘৃণ্য কাজটি যারা করেছেন, নিজেদের বিবেককে প্রশ্ন করুন : রিপন মিয়া

তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার বড় পর্দায় দেখালেন ছাত্রদল নেতা তারিক

নিয়মিত ব্লাড প্রেশার মাপা শুরু করবেন কখন থেকে

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে শ্রমিকদের অবরোধ

নাশকতার মামলা / মির্জা আব্বাস-রিজভীসহ ১৬৭ নেতাকর্মীকে অব্যাহতি 

সিনেমায় বাঙালিয়ানা কোথায়: রঞ্জিত মল্লিক

১০

দেশে কতবার গণভোট হয়েছে, কেমন ছিল ফলাফল

১১

ট্রাম্পকে সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মাননা দেবে ইসরায়েল

১২

শিক্ষা ভবনের সামনে ৭ কলেজ শিক্ষার্থীরা, যান চলাচল বন্ধ

১৩

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ হবে কি না জানালেন প্রেস সচিব

১৪

আগামী সংসদের ওপর পিআর ইস্যু ছেড়ে দিতে বললেন মির্জা ফখরুল

১৫

দাবি মিজানুর রহমানের / বরিশালের হয়ে বিপিএল খেলবেন তামিম!

১৬

ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা, কিস্তির গ্যাঁড়াকলে জেলেরা দিশেহারা

১৭

তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য তহবিল গঠনের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৮

বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করল আরও এক দেশ

১৯

দরিয়া-ই-নূর যেভাবে বাংলাদেশে

২০
X