কক্সবাজারের পেকুয়ার পশ্চিম উজানটিয়া করিমদাদ মিয়া চৌধুরী পরিত্যক্ত লঞ্চঘাট দখল করে দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে নুরুল আলম নামের স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকালে দলের নাম ভাঙিয়ে লোকজন নিয়ে তিনি পরিত্যক্ত এ লঞ্চঘাট দখল করে দোকানঘর নির্মাণকাজ শুরু করেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, নুরুল আলম উজানটিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ও মিয়াপাড়া এলাকার মৃত নুরুল হুদার ছেলে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধভাবে দোকানঘর নির্মাণ করছেন তিনি। ইতিপূর্বে সে আরেকটি দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছে। এতে প্রশাসন কোনোভাবে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেন নাই বলে সে বার বার দলের নাম ব্যবহার করে সরকারি জায়গা জবরদখল করতে মহাউৎসবে মেতেছে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর পাকা এ জেটিঘাটটি নির্মাণ করেছিলেন। কিন্তু ২০১৮ সালের নভেম্বরে বালুবাহী একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় ভেঙে পড়ে এ জেটিঘাট। গত আড়াই বছরেও অন্য আরেকটি ঘাট নির্মাণ না হওয়ায় এটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে। এ থেকে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন উজানটিয়া ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ করিয়ারদ্বিয়া ও মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী দ্বীপের অন্তত ২০ হাজার মানুষ। তা ছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় ও উৎপাদিত পণ্য পরিবহনে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, করিমদাদ মিয়ার ঘাট স্টেশন এলাকায় পাকা জেটিঘাটটির মূল অবকাঠামোর একাংশ নদীতে আর বাকি অংশ নদীর চরে পড়ে রয়েছে। ওই পরিত্যক্ত অংশটি দখলে নেন স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম। সরকারি কোনো অনুমতি ছাড়া বা কোনো লিজ ছাড়া সে ৪-৫ জন লোক নিয়ে দোকানঘর নির্মাণের কাজ চালায়।
এ নিয়ে নুরুল আলম বলেন, এটি দোকানঘর না, যাত্রী ছাউনি করছি।
উজানটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন জানান, দলের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি, সরকারি জায়গা দখল করা যাবে না। আমি তাকে ওই জায়গা দখল না করার জন্য বলা হয়েছে। এরপরও যদি দখল করে তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার অপকর্মের দায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিবে না।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহেদুল ইসলাম জানান, সরকারি জায়গা দখল করার সুযোগ কারো নেই। অবৈধভাবে কেউ দখল করলে তা উচ্ছেদ করা হবে এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন