গাজীপুর সদর থানার বাঙ্গালগাছ এলাকায় দুই ভাইকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি আব্দুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১। সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৪টার দিকে তাকে শিমুলতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে র্যাব।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে র্যাব-১-এর পোড়াবাড়ী ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান গাজীপুর র্যাব-১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর ইয়াসির আরাফাত হোসেন।
গ্রেপ্তার আব্দুল আউয়াল (৫১) পিরোজপুর জেলার বাঁশবুনিয়া গ্রামের মৃত হাতেম আলীর ছেলে। তিনি বাঙ্গালগাছ এলাকায় পান সুপারির দোকান চালাতেন।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, গত ২০ অক্টোবর সাড়ে ৭টার দিকে বাঙ্গালগাছ বাঁশবাজারে শফিকুল ইসলাম (২৫) ও শুক্কুর আলী (২২) নামের দুই ভাইকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি আঘাত ও কুপিয়ে হত্যা করে আসামিরা পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ভিকটিমদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় পরদিন ভিকটিমদের বাবা আবুল কাশেম বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর র্যাব-১ এর একটি দল তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ওই ঘটনায় জড়িত প্রধান পলাতক আসামি আব্দুল আউয়ালের অবস্থান শনাক্ত করে। সে শিমুলতলী বাজার সমরাস্ত্র কারখানা এলাকায় আত্মগোপনে রয়েছেন। পরে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে আব্দুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামির ভাষ্য অনুযায়ী র্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, ঘটনার দিন ভিকটিম শফিকুল ইসলাম ও শুক্কুর আলীসহ চারজন একটি অটোরিকশাযোগে বাঙ্গালগাছ বাঁশবাজার এসে কিছু না বলে বাজারের বিল্লালের দোকান ভাঙচুর করে। পরে রাসেলের মুদি দোকানের ফ্রিজ ভাঙচুর এবং তার দোকানের সিসি ক্যামেরার যন্ত্রপাতি সঙ্গে নিয়ে জুলহাসের গাড়ি ওয়াশিং পয়েন্টের দোকানে যায়। সেখানে জুলহাস ও মমিনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়। হাতাহাতির একপর্যায়ে বাজারের চারদিক থেকে আব্দুল আউয়ালসহ আরও ৩-৪ জন মিলে দেশি অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে ভিকটিম শফিকুল ইসলাম ও শুক্কুর আলীকে মারধর করে পালিয়ে যায়।
এ ছাড়া ঘটনার দুই দিন আগে আব্দুল আউয়ালকে হাজীবাগ রোডে শফিকুল ইসলাম ও শুক্কুর আলীসহ পাঁচজন পথরোধ করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পাঁচ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এই ক্ষোভে ভিকটিম শফিকুল ইসলাম ও শুক্কুর আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন আব্দুল আউয়াল ।
মন্তব্য করুন