সুন্দরবনঘেরা সাতক্ষীরা-৪ আসন। জাতীয় সংসদের ১০৮ নম্বর আসনটিতে মোট ২০টি ইউনিয়ন রয়েছে। এ আসনে আবারও বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী আওয়ামী লীগ। তবে নির্বাচন নিয়ে এখনো দোটানায় বিএনপি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এই আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি (জাপা) ও জামায়াতের একাধিক প্রার্থী সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়েছেন। তাই আসন্ন সংসদ নির্বাচনেও এই আসনে প্রতিটি দলের একাধিক প্রার্থী নিজ নিজ দলের মনোনয়ন প্রত্যাশায় ভোটের মাঠে সরব রয়েছেন।
পূর্বাপর নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে তৎকালীন খুলনা-১১ আসনে (শ্যামনগর) আওয়ামী লীগের মো. মোহাসীন, ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে পুনর্নির্ধারিত খুলনা-১২ আসনে বিএনপির ডা. আফতাবুজ্জামান, ১৯৮৬ সালে সাতক্ষীরা-৫ আসনে জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন, ১৯৮৮ সালে পুনরায় জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন, ১৯৯১ সালে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির অধ্যক্ষ জিএম আব্দুল হক, ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এ কে ফজলুল হক, ২০০১ সালে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, একই বছর তৎকালীন সাতক্ষীরা-৪ আসনে (দেবহাটা-কালিগঞ্জ) কাজী আলাউদ্দিন, ২০০৮ সালে জাতীয় পার্টির এইচএম গোলাম রেজা এবং ২০১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের স ম জগলুল হায়দার এই আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
তবে এবার আসনটিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নতুন মুখ আশা করছে স্থানীয় একাংশের নেতাকর্মীরা। গত দশ বছরে নির্বাচিত প্রতিনিধির কাজের মূল্যায়ন ও দলীয় নেতাকর্মীদের কাজের মূল্যায়নে এবার দলীয় মনোনয়নে তরুণ নতুন মুখ আসতে পারে- এমনটিও নির্বাচনী এলাকায় প্রচার রয়েছে। এ ছাড়া জামায়াত ও বিএনপির রিজার্ভ ভোট মোকাবেলা করতে এ অংশের নেতাকর্মীরা প্রার্থী নির্বাচনে নতুনত্ব দেখতে চান।
ইতোমধ্যে এ আসনে আওয়ামী লীগের কয়েকজন প্রার্থী কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশায় সভা-সমাবেশ-উঠান বৈঠক-মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা ও সরকারের উন্নয়ন সম্বলিত লিফলেট প্রচারের মাধ্যমে গণসংযোগ করছেন।
এদিকে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল যেমন নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, ঠিক তেমনি মাঠে নামতে না পারলেও বিরোধীরা সাংগঠনিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন ইমেজ সংকটে।
অপরদিকে এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্যের অনুসারী নেতাকর্মীরা বলছেন, বর্তমান এমপিই জনপ্রিয়তা দিয়ে পুনরায় আওয়ামী লীগকে এই আসনটি উপহার দিতে পারবেন।
মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, সাতক্ষীরার অধিকাংশ এমপি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের খোঁজ রাখেন না। মূলত দলীয় গ্রুপিং, কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধ, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন মতবিরোধের কারণে নেতাকর্মীরা বিভক্ত।
যার প্রভাব পড়েছে বিগত সাতক্ষীরা পৌরসভা ও জেলার সাতটি উপজেলার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে। জেলার মূল দলসহ সহযোগী সংগঠনগুলো বিভক্ত, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যেও রয়েছে দূরত্ব। সবাই ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া। এ কারণে তৃণমূলে আওয়ামী লীগের ভিত অনেকাংশে দুর্বল, এমনটি মনে করেন সাধারণ কর্মী ও সমর্থকরা।
জেলার শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ উপজেলার আংশিক এলাকা নিয়ে গঠিত সাতক্ষীরা-৪ আসনে বর্তমানে ভোটার সংখ্যা চার লাখেরও বেশি। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে কালিগঞ্জ উপজেলার আটটি ইউনিয়নকে শ্যামনগর উপজেলার সঙ্গে যুক্ত করার পর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে বর্তমানে টানা দুই মেয়াদে এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম জগলুল হায়দার। জগলুল হায়দার ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে পুনরায় দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেন তিনি।
তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বর্তমান সরকারের টানা তিন মেয়াদে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তবে মাঠের ত্যাগী নেতাকর্মীদের তেমন মূল্যায়ন না হওয়ায় নেতাদের সঙ্গে মাঠ পর্যায়ের কর্মী-সমর্থকদের দূরত্ব বাড়ছে। মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মনে করেন, টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। আগের চেয়ে তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশ ছেলেমেয়ে এখন আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তা ছাড়া দীর্ঘ সময় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারণে তৃণমূল পর্যায়ে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। আর এ সমস্যার সমাধান নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমেই সম্ভব বলে এলাকার তরুণ সমাজ মনে করে।
এ আসনের টানা দুবারের সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দার মনে করেন, তিনি পুনরায় মনোনয়ন পাবেন।
জগলুল হায়দার বলেন, ‘সরকারের উন্নয়নে সুন্দরবনঘেঁষা এ আসনের সাধারণ মানুষ খুশি।’
সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হলেও বিজয়ী হবেন এমনটি জানিয়ে জগলুল হায়দার আরও বলেন, ‘দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার জন্য আমি কাজ করবো। সাতক্ষীরা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে কোনো কোন্দল নেই। প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে, কিন্তু এখানে কোনো প্রতিহিংসা নেই।’
তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য হওয়ার পর থেকে সর্বাত্মকভাবে স্থানীয়দের সঙ্গে থেকেছি। যথাসাধ্য উন্নয়ন করেছি। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন প্রচারে ও মানুষকে ভালবাসতে জনগণের দ্বারে দ্বারে গিয়েছি। মানবিক কাজের জন্য তিনি দেশজুড়ে আমার পরিচিতি রয়েছে। আমি আশাবাদী, দল আমাকে আবারও মনোনয়ন দেবে।’
তবে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অনেক তরুণ প্রার্থী এ আসন থেকে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশায় মাঠে রয়েছেন। সংসদ সদস্য জগলুল হায়দারসহ এ আসনে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট কয়েক জন প্রার্থী রয়েছেন যারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা সাতক্ষীরা-৪ আসন থেকে এবার দলীয় মনোনয়ন পেতে নিজ নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগসহ তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে চলেছেন।
শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন এবারে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় বেশ আলোচনায় রয়েছেন। স্থানীয় রাজনীতিতে নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের সমন্বয়হীনতা আসন্ন নির্বাচনে দলের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে তিনি মনে করেন। দলে নেতাদের সঙ্গে সরাসরি বিরোধ বা কোন্দল না থাকলেও মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে ম্লান করছে, এমনটি মনে করেন এই তরুণ নেতা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার হয়ে কাজ করবেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে নারী নেত্রী হিসেবে আগ্রধিকার দেওয়া হবে এমন প্রত্যাশায় করে গত কয়েক বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য শেখ মাসুদা খানম মেধা। পেশায় একজন ব্যাংকার হিসেবে এবং এলাকার পুত্রবধূ হিসেবে তিনি এলাকায় পরিচিত। একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি সাতক্ষীরা-৪ আসন থেকে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য ফরম জমা দেন।
ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় থেকে বর্তমানে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে মাঠে রয়েছেন। আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি সাতক্ষীরা-৪ আসন শ্যামনগর এলাকা থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশায় মাঠে রয়েছেন। এ ছাড়াও আওয়ামী লীগের বেশ কিছু নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী এ আসনে, তবে তাদের তেমন কোনো কর্মকাণ্ড লক্ষ করা যায়নি।
অপরদিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা বলছেন এখন নির্বাচন নয়, রাজপথে আন্দোলন নিয়ে ভাবছে তারা।
তাদের দাবি, গণতান্ত্রিক দলের নির্বাচনের প্রস্তুতি সব সময়ই থাকে। দলের নির্বাচন করার মতো অসংখ্য যোগ্য নেতা আছে। তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা হলে বিএনপি যাকে এ আসনে মনোনয়ন দেবে সেই বিজয়ী হবে।
বিএনপির জাতীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের তো মাঠে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। মামলা দিয়ে ঘরছাড়া করা হয়েছে। তারপরও আমরা একদফা দাবি নিয়ে মাঠে আন্দোলন করছি। সরকার পতন হলে আমরা নির্বাচন নিয়ে ভাববো। তবে বিএনপি নির্বাচনে গেলে দল থেকে মনোনয়ন আমাকেই দেওয়া হবে এ বিশ্বাস আমার আছে।’
তবে একাধিক সূত্র জানায়, বিএনপির সিনিয়র নেতারা দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাবে না বলে ব্যাপক প্রচার চালালেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তুতি রাখছে দলটি। এ জন্য ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতিও জোরদার করছে।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচন ছাড়া এর পরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোতে বিএনপি কখনো এ আসন থেকে নির্বাচিত হতে পারেনি। তবে এবারের নির্বাচনে সাতক্ষীরা-৪ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক এমপি (২০০১ সালের নির্বাচনে জোটের শরিক জাতীয় পার্টির এমপি) কাজী আলাউদ্দিন।
এ ছাড়া সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাতক্ষীরা আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. সৈয়দ ইফতেখার আলী দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে। তবে বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি এখনো অনিশ্চিত। এ কারণে সরাসরি বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্বাচনী কর্মকাণ্ড চোখে পড়েনি।
সর্বশেষ নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির গোলাম রেজা নির্বাচনে জয়লাভ করেন। এরপর দুবার জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও এ আসন ফিরে পায়নি জাতীয় পার্টি। তবে এই আসনে জাতীয় পার্টির যেমন প্রভাব রয়েছে, তেমনি আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের প্রভাব থাকায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চতুর্মুখী হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, মহাজোট থেকে দলীয় মনোনয়ন পেতে এই আসনে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন সাবেক এমপি ও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত এ এইচ এম গোলাম রেজা। এ আসনে জাতীয় পার্টির হয়ে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন কালিগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবর রহমানসহ আরও কয়েক জন। এ আসনে জাসদের প্রার্থী হিসেবে সাবেক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী দলীয়ভাবে নির্বাচন করবেন বলে জেলা জাসদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-৪ আসন থেকে দুবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য জামায়াতে ইসলামীর গাজী নজরুল ইসলাম এবারও এ আসনের প্রার্থী, এমনটি ঘোষণা দলটির। তিনি ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন সাতক্ষীরা-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে সাতক্ষীরা-৫ আসনের শ্যামনগর উপজেলাকে কালিগঞ্জ উপজেলার আটটি ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত করে সাতক্ষীরা-৪ আসনে বিন্যস্ত করে নির্বাচন কমিশন। এরপর অনুষ্ঠিত তিনটি সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয় পেলেও এ আসনে জয় পায়নি জামায়াতে ইসলামী।
জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলামের নাম ঘোষণা করেছে। গাজী নজরুল ইসলাম জামায়াতের জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও শ্যামনগর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির।
সাতক্ষীরা-৫ আসনকে সাতক্ষীরা-৪ আসনে বিন্যস্ত করার পরে ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে তিনি সাতক্ষীরা-৪ আসন থেকে পরাজিত হন।
জানা গেছে, দেশের ৩০০ আসনের মধ্যে ১২০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াত। সে তালিকায় রয়েছে সাতক্ষীরার চারটি আসনের মধ্যে তিনটি আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থীর নাম। একটি আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা না করলেও গোপনে জেলার চারটি আসনেই নিজেদের নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা।
মন্তব্য করুন