রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে এমভি জগ রাজীব নামে একটি বাণিজ্যিক জাহাজ। বুধবার (১ নভেম্বর) ভোরে মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়ে এলাকায় নোঙর করে জাহাজটি। এরপর সকাল থেকেই শুরু হয় জাহাজ থেকে কয়লা খালাস ও পরিবহনের কাজ। ইন্দোনেশিয়ার মুয়ারা পান্তাই বন্দর থেকে গত ২১ অক্টোবর ৫৪ হাজার ৭০ টন কয়লা নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দ্যেশে ছেড়ে আসে ভারতীয় পতাকাবাহী এ জাহাজটি।
জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট মেসার্স টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেডের খুলনার সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ফেয়ারওয়ে এলাকায় রেখে ওই জাহাজ থেকে ২৩ হাজার টন কয়লা খালাস করা হবে। এরপর বাকি ৩১ হাজার ৭০ টন কয়লা নিয়ে জাহাজটি বন্দরের হারবাড়িয়ায় আসবে। সেখানে রেখে লাইটারে খালাস করা হবে জাহাজে থাকা অবশিষ্ট কয়লা। এরপর লাইটারেজে করে নেওয়া কয়লা নেওয়া হবে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে। পরে জেটি থেকে তা সংরক্ষণ করা হবে বিদ্যুৎকেন্দ্রের গোডাউনে।
এদিকে পরিক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হওয়া রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট ভ্যাচুয়ালি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম জানান, মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিদ্যুৎকেদ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছিল। এ সময় ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের এ কর্মকর্তা জানান, ১ নভেম্বর মোংলা-খুলনা নতুন নির্মিত রেলপথের ভার্চুয়ালি উদ্ধোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সময় ভার্চুয়ালি রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের উদ্ধোধন করা হবে। এর পর নিয়মিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুইটি ইউনিট প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে।
বিআইএফপিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ আকরাম উল্লাহ বলেন, মৈত্রী প্রকল্প বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্ব ও দৃঢ় বন্ধনের প্রতীক। দেশ-বিদেশের কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিশেষজ্ঞদের প্রচেষ্টায় আমরা দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি।
এর আগে ২০২২ সালের ১৭ ডিসেম্বর এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট উৎপাদনে যায়। এরপর কয়েক দফা বন্ধ হলেও বর্তমানে কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট চালু রয়েছে। দুই ইউনিট মিলে এই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট।
মন্তব্য করুন