বিএনপির ডাকা তিন দিনের অবরোধের দ্বিতীয় দিনে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাটে অন্যান্য দিনের চেয়ে ফেরি ও লঞ্চ তুলনামূলক কম চলাচল করছে। সকাল থেকে পাটুরিয়া-দৌলদিয়া নৌ-রুটে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা পর পর একটা ছোট ফেরি ছাড়লেও দূরপাল্লার গাড়ি না থাকায় বড় ফেরি ছাড়তে দেখা যায়নি। লঞ্চ চলাচলও নেই বললেই চলে। এতে করে স্থবির হয়ে পড়েছে ঢাকা দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের এ নৌরুটটি।
বুধবার (১ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে পাটুরিয়া ঘাটে এমনই চিত্র দেখা যায়। অবরোধকে কেন্দ্র করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পারাপাররত যাত্রীরা। তাই অবরোধের প্রভাব কিছুটা হলেও পড়েছে পাটুরিয়া-দৌলদিয়া লঞ্চ ও ফেরিঘাটে। প্রতিদিনের মতো দূরপাল্লার যাত্রী ও যাত্রীবাহী গাড়ি চোখে না পড়লেও, পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান পার হতে দেখা গেছে।
মহাসড়কে দূরপাল্লার গাড়ি দেখা না গেলেও মাঝে মাঝে প্রাইভেটকার, পিকআপভ্যান, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান, হ্যালোবাইক, ইজিবাইক চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে দুপুরের ১টার দিক হতে সেলফি পরিবহনগুলো দুএকটা করে ছাড়া শুরু করে।
পাটুরিয়া ঘাটের সেলফি পরিবহনের চালক রবি জানান, অবরোধের প্রথম দিন রাস্তায় আসিনি। আজ দুপুরে আসলাম। দেখি যাত্রী পেলে হয়তো ঢাকার দিকে যাব। রাস্তায় তো যাত্রীই নাই। আবার ভয়ও আছে। কোথায় কখন কী পরিস্থিতি হয় বলা তো যায় না।
ঘাটের ফল ব্যবসায়ী সব জেল জানান, অবরোধের কারণে ঘাটে যাত্রী নাই। অন্যান্য দিন দুপুর পর্যন্ত ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা বিক্রি হলেও আজ বিক্রি করেছি মাত্র ৮০ টাকা। এভাবে হলে আমরা বৌ-পোলাপান নিয়ে বাঁচতে পারব না। আমরা গরিব মানুষ। আমরা হরতাল অবরোধ চাই না।
ফেরির মধ্যে বই শিশুদের বিক্রি করে হকার মন্তাজ। তিনি জানান, অবরোধের কারণে আমাদের বেচা বিক্রি নাই। কারণ রাস্তার গাড়ি নাই, যাত্রী নাই। অবরোধে আমাদের মতো গরিব মানুষের সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ফেরিতে হকারি করি। ফেরি যদি না চলে আমরা চলুম কেমনে।
৪ নম্বর ফেরিঘাটের টিকিট চেকার রিপন জানান, বড় ফেরিগুলো বন্ধ। দূর পাল্লার কোনো গাড়ি নাই। শুধুমাত্র পণ্যবাহী মিনি ট্রাক, পিকআপ আর দুই একটা প্রাইভেটকার পারাপার হচ্ছে।
মন্তব্য করুন