কিশোরগঞ্জে বাবার দেওয়া সাক্ষীতে ছেলে নজরুল ইসলাম বিপ্লবকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (০৬ নভেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শাম্মী হাসিনা পারভীন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নজরুল ইসলাম বিপ্লব (৫০) কটিয়াদী উপজেলার চান্দপুর কোনাপাড়া গ্রামের হাজী মোহাম্মদ নুরুজ্জামানের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২০ এপ্রিল কটিয়াদী উপজেলার চান্দপুর কোনাপাড়া গ্রামে দুপুরের খাওয়া দাওয়া শেষে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন মাসুদ উজ জামান (৩৮)। ওইদিন বিকেলে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে নিহত মাসুদ উজজামানের ঘরে প্রবেশ করে দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে নজরুল ইসলাম বিপ্লব। এ সময় মাসুদের স্ত্রী নিপা বেগম বাধা দিলে তাকেও কুপিয়ে জখম করা হয়।
পরে নিপার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দুজনকে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মাসুদকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরবর্তীতে এ ঘটনায় ওই বছরের ২২ এপ্রিল নজরুল ইসলামকে আসামি করে কটিয়াদী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী নিপা বেগম।
মামলায় প্রথম সাক্ষী দিয়েছেন মাসুদের বাবা হাজী মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের ২০ এপ্রিল আমার ছোট ছেলে মাসুদ উজ জামান ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। ওইদিন বিকেল বেলায় বড় ছেলে নজরুল ইসলাম বিপ্লব ঘুমন্ত অবস্থায় তার ওপর দা দিয়ে আক্রমণ করে তাকে কুপিয়ে আহত করে। আমি নিহতের স্ত্রীর চিৎকার শুনে ঘরে গিয়ে নজরুলকে বাধা দিলে নজরুল আমাকেও আঘাত করতে আসে। এ সময় নজরুল আমাকে লাথি দিয়ে ঘরের বাইরে ফেলে দেয়। আমি হত্যার বিচার চাই।’
মামলা দায়েরের পর তদন্ত শেষে ওই বছরের ৮ আগস্ট নজরুলকে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে কটিয়াদী মডেল থানার বাট্টা হাওর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক মো. নুরুল ইসলাম। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির আর বিবাদী পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট লুৎফর রশিদ রানা।
মন্তব্য করুন