রাজশাহীতে পাগলা হাতির আক্রমণে শিশুসহ দুইজন মারা গেছেন। নিহতরা হলেন, রামপদ (৪০) ও মোবাসশির (১৩)। নিহত রামপদর বাড়ি উপজেলার জুমারপাড়া গ্রামে। আর মোবাসশিরের বাড়ি নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউপির লক্ষিপুর মোড় এলাকার মানিকপাড়া গ্রামে।
জানা গেছে, বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালের দিকে একটি হাতি আমনুরার দিক থেকে জনতার ধাওয়া খেয়ে ধানী মাঠ দিয়ে ধামধুম এলাকায় আসার সময় জমিতে কিটনাশক স্প্রে করছিলেন কৃষক রামপদ। তাকে আছড়ে মাটিতে ফেলে দেয় হাতিটি। স্থানীয়রা মাটিতে পড়ে থাকা কৃষক রামপদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এমন মৃত্যুর ঘটনায় পরিবার ও এলাকায় চরম শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্ত্রী ছেলে মেয়ে ও প্রতিবেশীদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে এলাকা। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
তানোর থানার ওসি আব্দুর রহিম বলেন, হাতিটিকে এখনো ধরা যায়নি। স্থানীয় জনতা ও প্রশাসনের লোকজন এবং বন বিভাগের কর্মকর্তারা মিলে হাতিটিকে ধরতে চেষ্টা চালাচ্ছে।
সকালের দিকে পাগলা হাতির আক্রমণে মোবাসশির (১৩) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়। বুধবার সকালের দিকে নাচোল উপজেলার পুর ইউনিয়নের লক্ষিপুর মোড় এলাকার মানিক পাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। সে ওই এলাকার মাস্টারপাড়া গ্রামের বুলবুলের ছেলে। এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
মানিকপাড়া গ্রামের আজহার নামের এক ব্যক্তি বলেন, বুধবার সকাল থেকে দুটি পাগলা হাতি চলাফেরা করছিল। এ সময় দুই হাতির মাঝে পড়ে যায় শিশু মোবাসশির। তখন হাতি দুটি শিশুকে আছড়ে মাটিতে ফেলে দেয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে নাচোল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু মোবাসশিরকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নাচোল থানার ওসি মিন্টু রহমান বলেন একটি হাতিকে আমনুরা শিমুলতলা মোড় থেকে আটক করা হয়েছে। আরেকটিকে আটক করা যায়নি।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নিয়ারমুল রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে বন বিভাগের কর্মকর্তা পাঠানো হয়েছে। পাগলা হাতিকে এখনো নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। হাতি পরিচালনাকারী মাহুতকে প্রথমে আটক করা হলেও তাকে ছেড়ে দিয়ে হাতিটিকে আটকের চেষ্টা চলছে। তবে এ ঘটনায় এলাকায় চরম আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
মন্তব্য করুন