পটুয়াখালীর কুয়াকাটা এখন উত্তাল হয়ে উঠেছে। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে তীরে। স্থানীয় প্রশাসন নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করছে। অধিকাংশ মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহ নিরাপদে আসা শুরু করছে। এদিকে কলাপাড়া উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। পর্যটকরা ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালি করছে। কেউ কেউ হোটেল মোটেল ও রিসোর্টে নিরাপদে চলে গেছে।
পর্যটক রিফাত বলেন, সমুদ্রেসৈকতের সৌন্দর্য দেখা যায় আবহাওয়া খারাপ হলেই। ভালো লাগছ সৈকতে বসে বড় বড় ঢেউ।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জানান, আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য কাজ করছি। আমরা পুরো টিম সৈকতে কাজ করছি।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) কলাপাড়া উপজেলার সহকারী পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান খান বলেন, পুরো উপকূলজুড়ে গতকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ঠান্ডা আবহাওয়া আর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি সবমিলিয়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আবহাওয়া অফিসের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি। আবহাওয়ার সংকেত বাড়লে মাইকিং ও অন্যান্য প্রচার প্রচারণার কাজ শুরু করব। আমরা ১৭০ আশ্রয়কেন্দ্র ও ২০টি মুজিব কেল্লা প্রস্তুত করা হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি ও বাতাসের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। তাই পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন