বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিধিলি মোকাবিলায় লক্ষ্মীপুরের উপকূলীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তা দিতে ১৮৯টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৬৪টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়া কাজ করছে রেড ক্রিসেন্টের ৪৫০ জন ও সিপিপি ৩২৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতিমূলক সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সভায় জানানো হয়, জেলার উপকূলের বাসিন্দাদের জানমালের ক্ষতি এড়ানোসহ সম্ভাব্য এ দুর্যোগ মোকাবিলায় আগাম কিছু প্রস্তুতি হাতে নেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় জনসচেতনতা বাড়ানোসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা কাজ করছেন। জানমালের ক্ষতি এড়াতে ১৮৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। তা ছাড়া দুর্যোগ মোকাবিলায় ৪৭০ টন চাল ও নগদ ২২ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা মজুদ রাখা হয়েছে। উপকূলের বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিতে গঠন করা হয়েছে ৬৪টি মেডিকেল টিম।
সভায় আরও জানানো হয়, উপজেলার প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কর্মস্থল এলাকায় থাকতে বলা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপকূলের মানুষকে সহায়তা দিতে স্বেচ্ছাসেবকরা প্রস্তুত রয়েছেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মেহের নিগার, জেলা ত্রাণ ও পুণর্বাসন কর্মকর্তা মো. ইউনুছ মিয়া, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমানসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুক্রবার রাত থেকে জেলাজুড়ে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত ও হালকা বাতাস বইছে। ফলে সকাল থেকেই এখানকার জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীরহাট নৌঘাট থেকে লক্ষ্মীপুর-ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
প্রসঙ্গত, জেলার রামগতি, কমলনগর, সদর ও রায়পুর উপজেলা মেঘনা নদীর উপকূলবর্তী এলাকা। এদিকে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় মিধিলিতে পরিণত হয়েছে। লক্ষ্মীপুরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন