বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ও দুই দিনের চলমান টানা বৃষ্টিতে স্বপ্নের সোনালি ফসল ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।
বুকভরা আশা নিয়ে ধান চাষ করেছিলেন কৃষকরা। কয়েকদিন পরেই সোনালি ধান ঘরে তুলবে, ছিল সেই স্বপ্ন। কিন্তু সে স্বপ্ন এখন ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পানিতে। ঝড়ো হাওয়ায় ধান গাছ নুয়ে পড়েছে। কৃষকদের মাঝে অনেকেই বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন তুলে নগদ টাকায় জমি বর্গা নিয়ে মাঠে ধানের চাষ করেছেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে টানা দুই দিন বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় চৌদ্দটি ইউনিয়ন একটি পৌরসভার অধিকাংশ ধানের ক্ষেত পানির সাথে শুয়ে পড়ে ডুবে রয়েছে। অধিকাংশ ধানক্ষেতের গাছে কেবল শিস ধরেছে আর কয়েক দিন গেলেই পরিপক্ক হতো ধানগুলো। এমন সময় বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়ায় হাজার হাজার হেক্টর ধানক্ষেত পানির নিচে বিনষ্টের উপক্রম হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ২৭ হাজার ৫ শত ২০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে নিজস্ব জমির মালিক ও বর্গা চাষি রয়েছেন। কারও জমি ১০ থেকে ১২ বিঘা আবার কারও কারও ১, ২ বিঘাও রয়েছে। আবার কেউ বর্গাচাষি। সেই ক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণেও রয়েছে ভিন্নতা। যাদের জমির ধান আগাম পেকে গেছে তাদের মধ্যে ক্ষতির পরিমাণ কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন অধিকাংশ মাঠেই ধানের ফলন ধরেছে। এই সময় অধিক বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কৃষকদের।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুনিতি কুমার সাহা বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাব ও ঝড়-বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় ধানক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এখনি ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।
মন্তব্য করুন