নাটোরের বাগাতিপাড়ায় মালঞ্চি রেলস্টেশন এলাকায় রেললাইনের একাধিক কংক্রিট স্লিপার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ট্রেন। ক্ষতিগ্রস্ত স্লিপারগুলো দ্রুত পরিবর্তন করা না হলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাজধানীসহ দেশের দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম এই রেলপথ। প্রতিদিন এই রেললাইন দিয়ে আপ-ডাউন মেইল, আন্তঃনগর ও ঢাকাগামীসহ মোট ৩২টি ট্রেন যাতায়াত করে।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার মালঞ্চি রেলস্টেশনের উত্তরে বড়পুকুরিয়া হতে ঠেঙ্গামারা এলাকায় (সেকশন সান্তাহার কিলোমিটার বোর্ড ২২৮/৪/৬ থেকে ২২৯/৪/৬ পর্যন্ত) প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে একাধিক স্লিপার ভাঙা। আবার অনেক স্লিপারের নাট-বল্টু খোলা। কোথাও কিছুদূর অন্তর এক থেকে দুটি আবার কোথাও একসঙ্গে ৪-৫টি স্লিপার ভাঙা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এই রেল পথে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে ৩২টি ট্রেন। ফলে, যে কোনো সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয়রা জানান, রেললাইনের স্লিপারগুলো অনেকদিন থেকেই ভাঙা। অনেক সময় মাদকসেবীরা এগুলো খুলে নিয়ে যায়। প্রতিদিন এই লাইনে অনেকগুলো ট্রেন দ্রুত গতিতে চলাচল করে। ভাঙা স্লিপারের কারণে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে যেকোনো সময় বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
মালঞ্চি রেলের দায়িত্বরত পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মেট মোস্তাক আহমেদ জানান, রেলের ক্ষতিগ্রস্ত স্লিপার কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারের মাধ্যমে পরিবর্তন করে। ইতোমধ্যে পাকশি স্টেশন থেকে আব্দুলপুর রেল স্টেশন পর্যন্ত স্লিপার বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এরপরে মালঞ্চি রেল স্টেশন এলাকায় কাজ শুরু হবে।
এ বিষয়ে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ৫-৬টি স্লিপার এক সঙ্গে ভাঙা থাকলে ঝুঁকি আছে। বিষয়টি দেখে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন