তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আট মাস ধরে বিকল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুটি অ্যাম্বুলেন্স

দুটি অ্যাম্বুলেন্স প্রায় আট মাস ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে। ছবি : কালবেলা
দুটি অ্যাম্বুলেন্স প্রায় আট মাস ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে। ছবি : কালবেলা

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুটি অ্যাম্বুলেন্স প্রায় আট মাস ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে। ফলে জরুরি রোগী পরিবহনে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে উপজেলাবাসীদের।

এ দিকে দীর্ঘ সময় বিকল অ্যাম্বুলেন্স মেরামত বা নতুন অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত অ্যাম্বুলেন্স চালকও বদলি হয়ে অন্য কর্মস্থলে চলে গেছেন। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ বলছেন, বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে বারবার চিঠি দিয়ে জানানো হলেও এখনও কোনো সাড়া মেলেনি।

তাড়াশ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া দুটি অ্যাম্বুলেন্স প্রথম দিকে ভালোই চলছিল। তবে করোনাকালীন সময় একটি অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনার শিকার হয়ে বিকল হয়ে যায়। অন্যটি ইঞ্জিনের ত্রুটির কারণে মাঝে মধ্যেই অচল হয়ে যেত। গত আট মাস ধরে সেটিও সম্পূর্ণরূপে বিকল হয়ে পড়ে আছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে। মেরামতের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে বারবার চিঠি দিয়ে জানানো হলেও অর্থ না পেয়ে তা মেরামত করা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে অ্যাম্বুলেন্স বিকল থাকায় অলস বসে থাকা চালক মো. আব্দুল মোমিনও গত ১৪ অক্টোবর বদলি হয়ে পার্শ্ববর্তী কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলে গেছেন।

উপজেলার বস্তুল গ্রামের রশিদুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে উপজেলা এলাকার মুমূর্ষু রোগীর আত্মীয়স্বজনকে রোগী পরিবহনে নির্ভর করতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়ায় ভাড়া করা অ্যাম্বুলেন্স বা যানবহনের ওপর।

এ রকম ভোগান্তিতে পড়া উপজেলার পাড়িল গ্রামের আকবর আলী জানান, এক সপ্তাহ আগে তার এক নিকট আত্মীয় হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে তাড়াশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। কিন্তু সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবণতি হলে তাকে দ্রুত বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে নিয়ে যেতে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সের খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন দুটি অ্যাম্বুলেন্সই নষ্ট। তখন বাধ্য হয়ে ভাড়ায় চালিত অ্যাম্বুলেন্সে সাড়ে তিন হাজার টাকায় বগুড়ায় নিয়ে যেতে বাধ্য হন তিনি।

উপজেলার মাছদক্ষিণা গ্রামের বসিন্দা জহুরুল ইসলাম বলেন, সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে প্রতি কিলোমিটার ১০ টাকা হিসেবে জেলা সদরে পৌঁছাতে লাগতো মাত্র তিনশ টাকা। সেখানে একই স্থানে যেতে এখন বেসরকারি ভাড়ায় চালিত অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া গুনতে হয় দুই হাজার থেকে ২ হাজার ৫শ টাকা। আবার গর্ভবতী মাকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সরকারি খরচে বহন করা হয়। কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স বিকল থাকায় তারা এ সুবিধা পাচ্ছেন না।

এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মোনোয়ার হোসেন বলেন, বিকল অ্যাম্বুলেন্স সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। আশা করি দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএসই টেক ফেস্ট ২০২৫ অনুষ্ঠিত

ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে ২ শ্রমিক নিহত

টঙ্গীতে উপদেষ্টার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ

আপনার মোবাইল দিয়েই করুন টাইফয়েড টিকার রেজিস্ট্রেশন

১৯ বছর ধরে একটি সেতুর অপেক্ষায় ২০ হাজার মানুষ

২০টি ভয়ংকর জে-১০ যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ, খরচ ২৭ হাজার কোটি

লবণের মাঠ ও চিংড়ি ঘের দখল নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ

গাজাগামী ফ্লোটিলার ১৩০ কর্মীকে জর্ডানে পাঠাল ইসরায়েল

সাবের হোসেনের সঙ্গে যেসব বিষয়ে আলোচনা করেন ৩ রাষ্ট্রদূত

নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে পরিচালিত করতে ‘গভীর ষড়যন্ত্র’ চলছে : মির্জা ফখরুল

১০

বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের সূচিতে পরিবর্তন

১১

আবরার হত্যার বিচার করলেই আ.লীগ নিষিদ্ধ হওয়া উচিত : চরমোনাই পীর

১২

ফুসফুস ক্যানসারের এই ৫ উপসর্গ সাধারণ অসুখ ভেবে এড়িয়ে যাচ্ছেন না তো?

১৩

ভৈরবে স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পাদুকা খাতে উদ্ভাবন শীর্ষক আঞ্চলিক ক্যাম্পেইন

১৪

বিসিবিতে নতুন দায়িত্ব বণ্টন: কোন কমিটির নেতৃত্বে কে?

১৫

চট্টগ্রামে যুবদলের দুই নেতাকে বহিষ্কার

১৬

মানসিক ভারসাম্যহীন মা, ফুটফুটে কন্যা সন্তান পেল নতুন ঠিকানা

১৭

ট্রাম্পের ‘ডাক্তার দেখানো উচিত’ মন্তব্যে গ্রেটা থুনবার্গের পাল্টা জবাব

১৮

১৭ মাসে কোরআনে হাফেজ, উপহার পেল রাদিফ

১৯

তিন মাসে ৫০ দিন অনুপস্থিত মেডিকেল অফিসার

২০
X