আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:০২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

উপজেলা আ.লীগ সভাপতিকে পেটাল পৌর কাউন্সিলর

অভিযুক্ত পৌর কাউন্সিলর ইব্রাহীম মিয়া। ছবি : সংগৃহীত
অভিযুক্ত পৌর কাউন্সিলর ইব্রাহীম মিয়া। ছবি : সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পৌরসভার এক কাউন্সিলরসহ তার লোকজন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তার স্ত্রীকে মারধরসহ বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল চারটার দিকে পৌর শহরের সড়ক বাজারে এ ঘটনা ঘটে। হামলার পরপর নাশকতার মামলায় কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আহত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নাম মোহাম্মদ আলী চৌধুরী (৬৭)। তিনি পৌর এলাকা রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা। আখাউড়া পৌর এলাকা বনিক পাড়ার বাসিন্দা ও পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইব্রাহীম মিয়া ওরফে সুজন ও তার ভাই লোকজন নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে আওয়ামী লীগ নেতার ওপর হামলা চালিয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। বিকেলেই তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রলীগের এক নেতাসহ কয়েজন বলেন, বুধবার বিকেল চারটার দিকে সড়ক বাজারের দরদী ফার্মেসির সামনে একটি চেয়ারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী বসেছিল। সে সময় একটি ছেলে সেখানে এসে আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে তর্ক করেন। এরই মাঝে কাউন্সিলর ইব্রাহীম মিয়া ওরফে সুজন ও তার ভাই কয়েকজনের দলবল নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে সড়কের মাঝখানে নিয়ে যান। সেখানে কাউন্সিলর, তার ভাই ও তাদের লোকজন আওয়ামী লীগ নেতাকে রাস্তায় ফেলে কিল, ঘুষি ও লাথি মারেন। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে কাউন্সিলর ও তার লোকজনকে ফিরিয়ে দেন। পরে আওয়ামী লীগ নেতাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী উষা বেগম (৬২) জানান, বিকেলে কাউন্সিলরসহ ৪-৫ জন বাড়ির ফটকে আঘাত করতে থাকেন। ফটক খুলতেই তারা ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর করে এবং তার স্বামীকে খোঁজ করেন। না পেয়ে উষা বেগমের পিঠে ও পায়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করে তারা।

আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী বলেন, আমি অসুস্থ। এখন কথা বলতে পারব না। পরে কথা বলব।

আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু বলেন, কাউন্সিলর নিজেকে আওয়ামী লীগের কর্মী দাবি করলেও তার বিরুদ্ধে বিএনপির নাশকতার মামলা রয়েছে।

আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা বলেন, আমি ঢাকায় আছি। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে মারধর করেছে বলে শুনেছি। কে এমন হয়েছে আমি জানি না।

অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় কারোর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

আখাউড়া থানার ওসি মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, পৌর শহরের মসজিদপাড়া থেকে কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিএনপির একটি নাশকতার মামলায় তিনি এজহারভূক্ত আসামি। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দায়িত্ব নিলেন নতুন সিআইডি প্রধান 

বিএনপির রাজনীতিতে ক্রিকেটার তামিম?

ভর্তিচ্ছু অসহায় ৬ শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়াল জবি ছাত্রদল নেতা

গুম কমিশনে অভিযোগ পড়েছে ১৮০০

কমবে গরম, বৃষ্টি হতে পারে ১০ দিন

অবশেষে মায়ের কোলে বিক্রি হওয়া সেই শিশু

লালমনিরহাট জেলা যুবদলের নতুন আহ্বায়ক কমিটি

পাকিস্তানের প্রতি তুরস্কের প্রকাশ্য সমর্থনের নেপথ্যে কী?

গুলি ছুড়ে তিন বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি

অভ্যুত্থানের পক্ষের সকল শক্তিকে গণমুখী লড়াই চালিয়ে যেতে হবে : মাহফুজ আলম

১০

পরমাণু হুমকি সহ্য করব না : মোদি

১১

আ.লীগ নেতাকে গণপিটুনি, বিপদে বিএনপি নেতা

১২

নগর উন্নয়ন ও পরিচ্ছন্নতা প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য : ডা. শাহাদাত

১৩

জাতির উদ্দেশে ভাষণে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা মোদির

১৪

ইন্দোনেশিয়ায় গোলাবারুদ বিস্ফোরণ, সেনাসহ নিহত ১৩

১৫

আম পাড়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের মারধরে নারী নিহত

১৬

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত

১৭

অভিযানে জব্দ ১৩ মণ সামুদ্রিক মাছ গেল এতিমখানায়

১৮

ঢাকায় বাসা খুঁজছেন তারেক রহমান

১৯

অধিনায়কত্বের চাপে ভেঙ্গে পড়া নয়, ঘুরে দাঁড়ানোর আশা লিটনের

২০
X