লালমনিরহাটে পাটগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত। তাপমাত্রা নেমেছে ১২.৮ ডিগ্রিতে। ফলে শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে গোটা জনপদ। দুপুর পর্যন্ত দেখা মিলছে না সূর্যের।
এ অবস্থায় সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীত ও ঠান্ডার কারণে কাজে বের হতে পারছে না তারা। উত্তরীয় হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে শীতকষ্টে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী চরের বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২ সপ্তাহ ধরে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি থেকে ১৭ সেলসিয়াসে ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে।
এদিকে গতকাল থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে লালমনিরহাটে আশপাশ। রাতভর বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরতে থাকে। বুধবার সন্ধ্য থেকে ঘন কুয়াশার কারণে মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহনগুলো। তবে গতকাল থেকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকে কুয়াশার পরিমাণ। দিনের বেলা খানিক সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও কাঙ্ক্ষিত উত্তাপ ছড়াতে না পারার কারণে শীতের তীব্রতা অনুভূত হয় দিনজুড়ে। বিকেল গড়াতেই আবারও শীত অনুভূত হতে থাকে।
জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দিনমজুর আমিনুর রহমান বলেন, কয়েক দিন থেকে খুব শীত। মাঠে কাজ করতে সমস্যা হয়। এখনো কেউ আমাক কম্বল দেয় নাই। কম্বলের খুব দরকার বর্তমানে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় লালমনিরহাট জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগামীতে আরও কমতে পারে।
মন্তব্য করুন