জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আসনভিত্তিক নির্বাচনী কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ সময় বর্ধিত সভাস্থলের চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানান, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের পাশে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের অফিসে সংগঠনের বর্ধিত সভা চলছিল। এ সময় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মুস্তাকিম মুহিবের নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগ নেতা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আসনভিত্তিক নির্বাচনী কমিটি গঠন নিয়ে প্রশ্ন করেন। এতে ছাত্রলীগের সভায় উত্তেজনা দেখা দেয় এবং চেয়ার ছুড়াছুড়ি করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন নেতাকর্মীরা। এতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয় বর্ধিত সভার চেয়ার।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মুস্তাকিম মুহিব বলেন, দুই বছর ধরে ছাত্রলীগের কোনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই। গঠনতন্ত্র বহির্ভূতভাবে কমিটি চলছে। এতে অনেক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে। পাবনা সদর থানা ও অ্যাডওয়ার্ড কলেজসহ অনেক জায়গায় বছরের পর বছর ধরে কমিটি নেই। সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী কমিটি গঠন করেছে। ১৩২ জনের কমিটিতে ৩০ জনও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী নেই। এই কমিটি কার সঙ্গে সমন্বয় করে গঠন করল? কেন প্রকৃত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের রাখা হয়নি, এসব নিয়ে বর্ধিত সভায় প্রশ্ন করায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমার ওপর চড়াও হন। আমি আত্মরক্ষা করে চলে আসার সময় একটা হট্টগোল হয়।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ বলেন, আমরা বর্ধিত সভায় মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদের স্মরণ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করছিলাম। এ সময় পেছন থেকে তারা হৈ হৈ করে হামলা চালিয়েছে। আমরা এই হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই ঘটনায় আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করব। সন্ত্রাসীদের কোনো অবস্থান ছাত্রলীগে নেই, থাকতেও পারবে না।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, পাবনা জেলা ছাত্রলীগের বর্ধিত সভাকে ঘিরে একটা ঝামেলা হয়েছিল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন