চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানির চিনিকলে চলতি মৌসুমে আখ মাড়াই শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন উপলক্ষে চিনিকলের কেইন কেরিয়ার প্রাঙ্গণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল হয়। পরে কেইন কেরিয়ারে আখ নিক্ষেপের মাধ্যমে চলতি মৌসুম শুরু করা হয়।
বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের সচিব চৌধুরী রুহুল আমিন কায়সারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দর্শনা চিনিকলের মাড়াই মৌসুম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়রম্যান শেখ শোয়েবুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের পরিচালক (উৎপাদন ও প্রকৌশল) মো. আতাউর রহমান, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাফুজুর রহমানঞ্জু।
বক্তব্য দেন চিনিকলের শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহাম্মেদ সবুজ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান আখচাষি কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল বারী বিশ্বাস।
চলতি মৌসুমে ৫৫ মাড়াই দিবসে ৬৫ হাজার টন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে চিনিকল কর্তৃপক্ষ। এ মৌসুমে চিনিকল জোনে আখ রয়েছে ৩ হাজার ৮০২ একর জমিতে। এর মধ্যে চিনিকলের নিজস্ব ১ হাজার ১৫৩ একর জমিতে আখ রয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান শেখ শোয়েবুল আলম বলেন, সব ঠিকঠাক চললে চলতি মৌসুমে চিনিতে মোটা অংকের লোকসান কমিয়ে আনতে পারবে প্রতিষ্ঠানটি।
চিনিকলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোশারফ হোসেন বলেন, চিনিকল এলাকায় আখের চাষ কম হয়েছে। এ জন্য এ বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্ধেকে নেমে আসছে। তাই এবার তিন হাজার ৮১০ টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উদ্বোধনের সময় বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী, বাংলাদেশ চিনিকল শ্রমিক ও কর্মচারী ফেডারেশনের নেতারা, আখচাষি ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
চাষিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ মৌসুমে আখের মূল্য বাড়িয়েছে সরকার। এবার প্রতিমণ আখের মূল্য ২২০ টাকা করা হয়েছে। তবে চাষিরা বলছেন, চিনির মূল্য অনুযায়ী আশানুরূপ হারে আখের মূল্য বাড়েনি। আখের মূল্য আরও বাড়ানোর দাবি চাষিদের।
বাংলাদেশ চিনিকল আখচাষি ফেডারেশনের সহসভাপতি মো. ওমর আলী বলেন, চিনিকল কর্তৃপক্ষের কাছে আখচাষিদের এবারের দাবি আখের মূল্য সরাসরি নগদ টাকায় পরিশোধ করা। মোবাইল ব্যাংকিং শিওর ক্যাশ বা বিকাশে চাষিরা টাকা নেবে না। ঋণের সার, বীজ, কীটনাশক সঠিক সময়ে দিতে হবে এবং চাষিদের কোটায় পাওনা চিনি উত্তোলনের সময় বাড়াতে হবে।
মন্তব্য করুন