বাড়ি থেকে শীতের পোশাক নিয়ে মাগরিবের নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে রাস্তা পার হচ্ছিল মো. ওবায়দুল হক (৫)। এ সময় একটি বাস তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। নিহত শিশু ওবায়দুল পার্শ্ববর্তী মঠবাড়িয়া উপজেলার হলতা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বরগুনার বামনা উপজেলার বামনা-পাথরঘাটা মহাসড়কের জয়নগর নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে নিহত শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অন্যদিকে ঘাতক বাসটি পালিয়ে যাওয়ায় এখন পর্যন্ত সেটি শনাক্ত করতে পারেনি বামনা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত শিশুটির নানা এমাদুল হক জমাদ্দার বাদী হয়ে বামনা থানায় ঘটনার দিন রাতেই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়রা জানান, নিহত শিশু ওবায়দুল হক কিছুদিন আগে নানাবাড়ি জয়নগরে বেড়াতে আসে। নানা এমাদুল জমাদ্দারের সঙ্গে ঘটনার সময় শিশুটি মাগরিবের নামাজ আদায় করতে মসজিদে যায়। নানা এমাদুল তাকে বাড়ি থেকে শীতের পোশাক পড়ে আসতে বলেন। পোশাক পড়ে আবার মসজিদে আসার জন্য সড়ক পার হচ্ছিল ওবায়দুল। এ সময় পিরোজপুর থেকে আসা দ্রুতগতির একটি রিজার্ভ বাস শিশুটিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা শিশুটিকে তাৎক্ষণিক বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বামনা থানার ওসি তুষার কুমার মণ্ডল বলেন, ‘আমরা ঘটনার পর থেকে ঘাতক বাসটি খুঁজছি। এ ব্যাপারে হত্যা মামলা নিয়েছি। আশা করি, বাস ও বাসের চালককে আমরা শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারব।’
মন্তব্য করুন