পৌষের শুরুতেই চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা নেমে ১০ ডিগ্রিতে ঠেকেছে। কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়ছেন শ্রমজীবী মানুষ। আজ রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিল ৮৬ শতাংশ। ভোর ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৯৫ শতাংশ। চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান আজকের আবহাওয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় তীব্র শীতে কাবু করে দিচ্ছে জনজীবন। উত্তরের হিমেল বাতাস আর কনকনে ঠান্ডায় কাঁপিয়ে দিচ্ছে মানুষ ও প্রাণীর দেহে। হাড় কাঁপানো শীতে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। এদিকে হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে শীতজনিত রোগী। বিশেষ করে শিশুরোগী। শিশুরা নিউমোনিয়া ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। এ ছাড়াও সর্দি-জ্বরেও আক্রান্ত হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনস্যালটেন্ট ( শিশু বিশেষজ্ঞ) মাহবুবুর রহমান মিলন জানান, রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা পর্যন্ত সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু রোগী ভর্তি আছে ৬৫ জন। আর নিউমোনিয়া, সর্দি-কাশি নিয়ে ভর্তি আছে ৬০ শিশু। এ ছাড়া বহির্বিভাগে প্রতিদিন দেড়শ থেকে ২০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। এর মধ্যে বয়স্করাও আছেন।
তিনি আরও বলেন, আমারা দুজন শিশু চিকিৎসক হাসপাতালে চিকিৎসায় নিয়োজিত আছি। শিশুদের চিকিৎসা পেতে কোনো অসুবিধা নেই। তবে এ সময় শিশু ও বয়স্কদের একটু বাড়তি যত্ন নিতে হবে।
মন্তব্য করুন