অসময়ে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নে যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্প এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে এই ভাঙন শুরু হয়। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত প্রকল্প এলাকার ভান্ডারবাড়ি গ্রামের সামনে থেকে প্রায় ৩০ মিটার অংশের সিসি ব্লক ধসে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অর্থায়নে ভাঙন রোধে যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হয়। এই প্রকল্পের আওতায় ২০১১ সালে প্রায় ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বরইতলী থেকে ভুতবাড়ি গ্রাম পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বাঁধ রক্ষায় কাজ শেষ করা হয়। ফলে যমুনা নদীর ভাঙন থেমে ছিল। নদীর পানি অনেক কমে যাওয়ায় পানির স্রোত বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রবল স্রোতে হঠাৎ করেই ফের যুমনা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। অব্যাহত ভাঙনের ফলে ভান্ডারবাড়ি গ্রামের সামনের অংশেও নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন ধেয়ে আসছে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের দিকে।
স্থানীয়রা জানান, প্রকল্পের কাজ শেষ করার পর থেকেই সিসি ব্লকে বাঁধানো তীর রক্ষা বাঁধ দফায় দফায় ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। সিসি ব্লকের বিভিন্ন অংশ ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে পুরো বাঁধ এলাকা। এরই মধ্যে নদীগর্ভে ধসে গেছে তীর রক্ষা বাঁধের বেশকিছু ব্লক। তৈরি হয়েছে বড় বড় ফাটল। ভাঙনে ঘরবাড়ি হারানোর ভয়ে আছেন নদীর তীরবর্তী মানুষ। ভাঙন রোধে যেভাবে কাজ হওয়া প্রয়োজন তা হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বাবু বলেন, যমুনা নদীর বুকে চর জেগে উঠেছে। ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে তীর রক্ষা বাঁধ ঘেঁষে পানির স্রোত প্রবাহিত হচ্ছে। এখন জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ মেরামত না করা হলে সম্পূর্ণ বাঁধই নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী নিবারণ চক্রবর্তী জানান, খবর পেয়ে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নদী ভাঙনের বিষয়টি জানানো হয়েছে। বাঁধ সংস্কারের বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন