দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত দলীয় নৌকা প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে তারকা আসনখ্যাত মানিকগঞ্জ-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেশ বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে তৃতীয়বারের মতো আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। আজ আমি দলীয় প্রতীক বরাদ্দ পেলাম। আমার মার্কা নৌকা। আমি বিশ্বাস করি, এই নৌকা মার্কা সবার পরিচিত মার্কা। শুধু তাই নয়, নৌকা হলো উন্নয়নের মার্কা, নৌকা হলো স্বাধীনতার মার্কা। নৌকা জাতির পিতার মার্কা।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে দলীয় প্রতীক নৌকা মার্কা বরাদ্দ পেয়ে সাংবাদিকদের দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। আমার বিশ্বাস, আমার নির্বাচনী এলাকার আপামর জনগণ আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে সংসদে কথা বলার সুযোগ করে দিবেন। আমরা যে পরিমাণ উন্নয়নমূলক কাজ করেছি এবং কিছু অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্যই আমার নির্বাচনী এলাকার ভোটাররা নৌকায় ভোট দিয়ে আবারও আমাকে এমপি বানিয়ে সংসদে পাঠাবেন। এ ছাড়াও জননেত্রী শেখ হাসিনাকেও আবার দেশের প্রধানমন্ত্রী বানাবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
দলীয় একাধিক বিদ্রোহী স্বতন্ত্রপ্রার্থীদের সম্পর্কে মমতাজ বেগম বলেন, আমি খুবই খুশি আমার নির্বাচনী আসনে অনেকগুলো প্রার্থী আছে। স্বতন্ত্রপ্রার্থীর সংখ্যাও বেশি। এতে অবশ্যই নির্বাচনটা উৎসবমুখর হয়ে উঠবে। দলীয় বিদ্রোহী যারা স্বতন্ত্রপ্রার্থী হয়েছেন, তারাও দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা মনোনয়ন না পেয়ে নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হয়েছেন। তারা কিন্তু দলের বড় বড় পদধারী নেতাও। আমি মনে করি বিদ্রোহী, স্বতন্ত্র বা ডামিপ্রার্থী যাই বলি না কেন, কোনো দিকে মানুষ যাবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষ উন্নয়নের মার্কা হিসেবে, বঙ্গবন্ধুর মার্কা হিসেবে নৌকাকেই বেছে নিবেন। এটা আমার বিশ্বাস।
ভোটের মাঠে প্রভাব বিস্তার করা বা টাকা ছড়াছাড়ির বিষয়ে মমতাজ বলেন, মাঠে অনেক ধরনের কথাই আছে, প্রচারণা আছে। এগুলো থাকবেও। আমি মনে করি, এসব বিষয়গুলো সম্পূর্ণ আমাদের নির্বাচন কমিশনের অধীনে। তারাই এটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবেন। তাই যদি কেউ কালো টাকার ছাড়ছাড়ি করেও থাকে তাহলে নির্বাচন কমিশন অবশ্যই এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন। আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি শিল্পী মানুষ, আমি যেখানেই যাই চার-পাঁচশ মানুষ এমনিতেই জড়ো হয়। এ ছাড়াও আমি এত বড় একটা দলের প্রার্থী এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সেহেতু আমার বাসায় অনেক লোকজন ও নেতাকর্মীর আসা-যাওয়া করে থাকে, তাই এই অভিযোগটি করানো হয়েছে। বিষয়টি তেমন গুরুতর কিছু নয়। আমার আইনজীবী সেটার (শোকজ) জাবাব দিয়েছেন।
আমার আসনে অন্য প্রার্থীদেরও আচরণবিধি কিন্তু লঙ্ঘিত হয়েছে। এগুলো নিয়ে আমি কিন্তু কোনো অভিযোগ করিনি।
মন্তব্য করুন