নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মন্ডলবাগ বাজার এলাকা থেকে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম রনিকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। আহত রনি নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের ঝাউডাঙ্গা গ্রামের মৃত আলম শেখের ছেলে।
উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মন্ডলবাগ বাজারের পাশের দোকানগুলোতে বিএনপির ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণের সময় বাধা দেওয়ায় শালনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম রনিকে (৩৫) পিটিয়ে আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহত রনির চোখের পাশে আঘাতস্থানে ২টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। আহত রনিকে ইমার্জেন্সিতে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত চিকিৎসক ডা. বেলাল হোসেন।
আহত রিপন বলেন, শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে মন্ডলবাগ বাজারের পাশের দোকানগুলোতে ওই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে সাবলু মোল্লা, লায়ন, সালাউদ্দিন, তানভীরসহ ২০-২৫ জন বিএনপির কর্মী ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণ করছিল। এ সময় ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম রনি তাদের বাধা দিলে উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে বিএনপির কর্মীরা রনিকে কিল, ঘুষি, চড়, থাপ্পড় মেরে এবং লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।
পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহত রনির খবর শুনে লোহাগড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও লোহাগড়া উপজেলার যুবলীগ সভাপতি আশরাফুল আলম, লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন মুন্না, শালনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কেরামত মোল্যা প্রমুখ আহত রনিকে হাসপাতালে দেখতে যান।
এ ব্যাপারে শালনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. লাবু মিয়া জানান, বিএনপি নেতাকর্মীরা লিফলেট বিতরণ শেষ করে যাওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে। দুজনের মাঝেই এই মারামারি হয়েছে। বিএনপির অন্য কোনো নেতাকর্মীর সঙ্গে মারামারি হয়নি। শাহাবুদ্দিন ও রনির মাঝে পুরোনো দ্বন্দ্ব ছিল। তার জেরেই আজ এই ঘটনা ঘটেছে।
লোহাগড়া থানার ওসি কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন