রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বলেছেন, ‘অনেক বয়োবৃদ্ধ আছেন তাদের কাছে যাচ্ছি তারা আমাকে দেখে রীতিমতো কেঁদে দিচ্ছেন যে, তারা বিগত দিনে যত কষ্ট পেয়েছেন তারা আসলে এটি থেকে পরিত্রাণ চান।’
মা-বোনেরা এই আসনে একজন মহিলা প্রতিনিধি চাচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমি আমার নির্বাচনী এলাকার প্রত্যেকটা আনাচে-কানাচে যাওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু এত কম সময়ে তানোর-গোদাগাড়ীর সব জায়গায় যাওয়া অনেকটা অসম্ভব। তারপরও চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমার জন্য এটি ভিশন রিস্কি বিষয় হলো- যেখানে এখনো যেতে পারিনি সেখানকার মানুষ বলছে, কী আমাদের এখানে (মাহি) আসবে না। না আসলে আমরা ভোট দিব না। এ রকম একটা ভয় দেখানোর পরে আমরা আবার ভয়ে ভয়ে সেখানে যাচ্ছি। এ রকম করতে করতে আমি ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে তানোর উপজেলার ১নং কলমা ইউনিয়নের বিল্লি বাজার এলাকায় গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মাহি।
সংসদ সদস্য ও আসন্ন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীর প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, সিনেমার চৌধুরী সাহেবরা যে রকম অহংকারী থাকে, মানুষকে শোষণ-শাসন করে, সিনেমার চৌধুরী সাহেবরা যে রকম চরম লেভেলের খারাপ মানুষ হয় আমি বাস্তবেও সেটার প্রমাণ পাচ্ছি।
মাহিয়া মাহি আরও বলেন, ‘সিনেমার চৌধুরী সাহেবদের দেখে গরিব-মেহেনতি মানুষেরা যে রকম ভয় পায়, তাদের কাছে মনে দুঃখ-কষ্ট প্রকাশ করা তো দূরের কথা থর-থর করে সামনে কাঁপে, আমরাও যেতে পারি না। ঠিক সে রকমই আমি এই নির্বাচনী মাঠে দেখতে পাচ্ছি। তবে সিনেমায় যেমন নায়ক-নায়িকার কাছে চৌধুরী সাহেবরা শেষ পর্যন্ত পরাজিত হয় এই তানোর-গোদাগাড়ীতেও অহংকারী চৌধুরী সাহেব পরাজিত হবেন। কেননা, জনগণ চৌধুরী সাহেবের সাথে নেই।’
অন্য প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন জানিয়ে মাহি বলেন, ‘বেশিরভাগ দেয়ালে আঠা দিয়ে পোস্টার লাগানো আছে। সরকারি খাম্বা এবং গাছে প্যারেক ঢুকিয়ে পোস্টার লাগানো আছে। আসলে এগুলো তো আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে। আমি জানি না এখানে যারা নির্বাচনী কর্মকর্তা যারা এগুলো দেখভালের দায়িত্বে আছেন তারা কতটুকু চেক করছেন। আমার গাড়িতে স্টিকার লাগানো ছিল, তো এসিল্যান্ড বললেন যে, এটি আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্য পড়ে। এরপর সাথে সাথেই আমি নখ দিয়ে খুচিয়ে এটি তুলে ফেলেছি। অথচ আমার সামনে দিয়ে শত শত গাড়ি যাচ্ছে যেগুলোতে স্টিকার লাগানো আছে। আমার মনে হয়, আইন সবার জন্য সমান হওয়া উচিত।’
মন্তব্য করুন