পূর্ব সুন্দরবনে অবৈধভাবে কাঁকড়া আহরণের সময় ১৬ জেলেকে আটক করেছে বনরক্ষীরা। আটক জেলেদের বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে শরণখোলা রেঞ্জ অফিসে নিয়ে আসা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দিয়ে দুপুরে বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে শরণখোলা রেঞ্জের কোকিলমনি ফরেস্ট ক্যাম্পের বড় খাজুরা এলাকা থেকে তাদের আটক করেন স্মার্ট প্যাট্রলিং দলের বনরক্ষীরা। জেলেদের কাছ থেকে একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার, ৩টি ডিঙি নৌকা, ১৬০টি কাঁকড়া ধরা চারো (বাঁশের তৈরি খাঁচা), ১৭টি পানির কন্টেইনার, ৩৪টি কাঁকড়া রাখা ঝুড়ি ও ৫টি দাসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ করা হয়।
আটক জেলেরা হলেন- মহিদুল আকন (৩৮), শওকত শেখ (৫০), তরিকুল ইসলাম (৩০), রাজু শেখ (২২), রবিউল ইসলাম (৩০), তিমির শিকদার (২৩), রিয়াজুল ইসলাম (২৪), নাইম শেখ (২০), মিকাইল শেখ (২৪), জিলানী শেখ (৩৫), সোহাগ হাওলাদার (৩৫), পলাশ খান (৩৩), বাবুল শেখ (৪২), আজাহার আলী (৫২), জুদান শেখ (২৮) ও রবিউল ইসলাম (২৫)।
আটককৃত জেলেদের বাড়ি বাগেরহাটের রামপাল ও মোংলা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বলে জানিয়েছে বনবিভাগ।
পূর্ব বনবিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান জানান, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি দুই মাস সুন্দরবনে কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম। তাই এই দুই মাস কাঁকড়া আহরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আটক জেলেরা এই নিষিদ্ধ সময়ে কাঁকড়া আহরণের জন্য গোপনে সুন্দরবনে প্রবেশ করেন। এই খবর জানতে পেরে স্মার্ট দলের বনরক্ষীরা অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন।
এসিএফ জানান, আটক জেলেদের কাছ থেকে একটি ট্রলার, ৩টি ডিঙি নৌকা ও বিপুল পরিমাণ কাঁকড়া ধরা চারোসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ করা হয়। এদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দিয়ে বাগেরহাট আদালতে চালান করা হয়েছে। কঁকড়ার প্রজননের এই সময় স্মার্ট দলের বিশেষ অভিযান ও বনবিভাগের নিয়মিত টহল আরও জোরদার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন