জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ববিরোধের জের ধরে পাবনা সদর উপজেলার দুবলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুজন আলী স্বপন ও মোজাহার আলী বিশ্বাস নামের দুই ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাবনা সদর থানার ওসি রওশন আলী। এর আগে রোববার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে পাবনা সদরের চরতারাপুর ইউনিয়নের আরিয়া গোহাইলবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষক সুজন আলী স্বপন চরতারাপুরের টাটিপাড়ার মাহমুদ আলী খানের ছেলে এবং মোজাহার আলী সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের পাটোয়া গ্রামের মৃত আজাহার আলী বিশ্বাসের ছেলে। গ্রেপ্তাররা হলেন- মালপাড়া চোকদারপাড়া গ্রামের মকছেদ প্রামাণিকের ছেলে মজিদ প্রামাণিক, একই গ্রামের মোজাই প্রামাণিকের ছেলে বাচ্চু প্রামাণিক।
প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চরতারাপুরের মালপাড়ার চকদারপাড়ার মজিদ প্রাং, শহিদ প্রাং, লতিফ প্রাং, মতিন প্রাং ও ইকবাল হোসেনসহ অভিযুক্তদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। রোববার সকালে মোজাহার আলী বিশ্বাস তার সন্তান মোতালেব ও প্রতিবেশী সুজন আলী স্বপনকে সঙ্গে নিয়ে জমিতে কাজ করছিলেন। এ সময় অভিযুক্তরা চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে এবং কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা করে। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় সুজন আলী স্বপন ও মোজাহার আলী বিশ্বাসকে উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সুজন আলী স্বপনের অবস্থা অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে প্রধান অভিযুক্ত মজিদ প্রামাণিক গ্রেপ্তার হওয়ায় অন্যতম অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনের মুঠোফোনের একাধিক নাম্বারে একাধিবার যোগাযোগ করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে পাবনা সদর থানার ওসি রওশান আলী বলেন, এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার দুজন আসামিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলমান। তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন