নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ঘুমন্ত স্ত্রীর পা ও সন্তানের মুখ অ্যাসিডে ঝলছে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে খোকন মিয়া নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দুপুরে ভুক্তভোগীর মা সাহেদা বেগম থানায় মামলা করেন।
এর আগে গত ২৩ জুন উপজেলার গোপালদী পৌরসভার সদাসদী কাজীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতরা হলো- মোর্শেদা আক্তার ও তার শিশুকন্যা মারিয়া।
মোর্শেদা আক্তার প্রথম স্বামীকে তালাক দেওয়ার পর একমাত্র মেয়ে মারিয়াকে নিয়ে মা সাহেদা বেগমের সঙ্গে বসবাস করে আসছিলেন। ৫ মাস আগে গোপালদী পৌরসভার গায়েনপাড়া এলাকার মৃত আনসার আলীর ছেলে খোকন মিয়ার সঙ্গে পারিবারিকভাবে মোর্শেদা আক্তারের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সন্তানকে তার নানার বাড়িতে রেখে আসতে মোর্শেদাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন স্বামী খোকন। এরই মধ্যে জুন মাসে মোর্শেদাকে বেধড়ক পিটিয়ে সন্তানসহ বাড়ি থেকে বের করে দেন তিনি। এরপর থেকে মোর্শেদা মেয়ে মারিয়াকে নিয়ে মা-বাবার সঙ্গে বসবাস করে আসছেন। গত ২৩ জুন রাত ৮টার দিকে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে খোকন শয়নকক্ষের জানালার ফাঁক দিয়ে ইনজেকশনের সিরিঞ্জ দিয়ে অ্যাসিড নিক্ষেপ করেন। এতে তার স্ত্রী মোর্শেদার ডান পায়ের উরু ও ছয় বছরের শিশুসন্তান মারিয়ার মুখ ঝলছে যায়। অ্যাসিডের যন্ত্রণায় চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে এ ঘটনার তিন দিন পর ভুক্তভোগীর মা সাহেদা বেগম বাদী হয়ে খোকন মিয়াকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও পুলিশ সেটি আমলে নেয়নি। শেষে মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা রুজু করে। এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত খোকনকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
আড়াইহাজার থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম সোহাগ বলেন, এ ঘটনায় মঙ্গলবার মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।
মন্তব্য করুন