কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে সাবেক রেলমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য মো. মুজিবুল হক নৌকার প্রার্থী। তিনি টানা দুই মেয়াদে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি অষ্টমবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। এর মধ্যে তিনি চারবার বিজয়ী হয়েছেন এবং আগামী ৭ জানুয়ারি তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমান। মুজিবুল হকের হাতে গড়া তারই রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন এ স্বতন্ত্র প্রার্থী।
মুজিবুল হক ৩৭ বছর ধরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে আসছেন। কুমিল্লা জেলার ১১টি সংসদীয় আসনের মধ্যে প্রার্থী হিসেবে তিনিই সর্বোচ্চ বার সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মুজিবুল হক কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে ১৯৮৬ সালে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে লড়েন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি কুমিল্লা জেলা যুবলীগের সভাপতি, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। বর্তমানে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের টানা দুই মেয়াদে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনীর সদস্য হিসেবে অংশ নেন।
মুজিবুল হক ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য হন। ১৯৯৮-২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি জাতীয়সংসদের হুইপ ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি আবার হুইপ হন। ২০১২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তিনি রেলপথমন্ত্রী হন।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রূপম মজুমদার বলেন, মুজিবুল হক চৌদ্দগ্রামের মাটি ও মানুষের নেতা। তিনি গণমানুষের রাজনীতি করেন। আওয়ামী লীগের দুর্দিনের নেতা তিনি। কোনো ষড়যন্ত্রই মুজিবুল হককে হটাতে পারেনি। আগামী ৭ জানুয়ারি তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন। শুধু চৌদ্দগ্রাম উপজেলাতেই নয় গোটা কুমিল্লা জেলায়একজন পরিচ্ছন্ন ও কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে মুজিবুল হকের একটি সুপরিচিত রয়েছে।
মুজিবুল হক কালবেলাকে বলেন, আমি কৃষকের সন্তান। তৃণমূল থেকে রাজনীতি করে আসছি। উন্নয়নের কারণে এবারও চৌদ্দগ্রামে নৌকার গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ষড়যন্ত্র করে লাভ নাই, চৌদ্দগ্রামবাসী উন্নয়নের কারণে নৌকায় ভোট দিবে।
তিনি আরও বলেন, দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বহিরাগত কারও পরামর্শে বিভ্রান্ত হবেন না। আগামী ৭ জানুয়ারি নৌকা প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করার মাধ্যমে বিশ্বাসঘাতকদের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভাসহ উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৮০৫ জন। এরমধ্যে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৯০৮ জন ও মহিলা ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৯৭ জন। আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটাররা ১২৫টি কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
মন্তব্য করুন