ডামি নির্বাচন বর্জনের দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত সকাল সন্ধ্যা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের সমর্থনে কক্সবাজারের পেকুয়ায় বিএনপির নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় পুলিশের গুলিবর্ষণে উপজেলা যুবদলের সভাপতি কামরান জাদিদ মুকুটসহ ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়। আহতদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে পিকেটিং করতে দেখা যায়।
বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের সিকদারপাড়া, পেকুয়া বাজারে, নন্দীর পাড়া, চড়াপাড়া, সাঁকোর পাড়, বারবাকিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় গাড়িতে পিকেটিং করতে। এ সময় তারা গাড়িও ভাঙচুর করে। ফলে রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিএনপির নেতাকর্মীদের পিকেটিং, রাস্তায় টায়ারে আগুন লাগিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করে।
এদিকে এসব নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ, বিজিপি, সেনাবাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। তারপরও ফাঁকে ফাঁকে হামলা চালিয়ে হরতাল পালন করছে নেতাকর্মীরা।
উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুর রহমান জানান, বিকেল ৫টায় আমরা পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সিকদারপাড়া এলাকায় যুবদলের সভাপতি কামরান জাদিদ মুকুটের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা পিকেটিং করছিল। এ সময় পেকুয়া থানা একদল পুলিশ এসে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে। এ ঘটনায় যুবদল সভাপতি মুকুট, ছাত্রদল নেতা সাকিসহ বেশকয়েকজন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। আহত অন্যদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, নির্বাচনী ডিউটি করতে পুলিশ ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছে। এ ফাঁকে তারা ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালাচ্ছে। তারপরও সেনাবাহিনী ও বিজিবি টহল দিচ্ছে। পিকেটিংকারীরা পুলিশের ওপর হামলা করে পুলিশের নিরাপত্তা ও যানমাল রক্ষায় শটগানের গুলি ছুড়ে। তবে কেউ আহত হয়েছে কিনা খবর পায়নি।
মন্তব্য করুন