পোষা কুকুরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে মালিককে অভিযোগ করা নিয়ে তর্ক-বির্তকের জেরে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। কুকুর মালিকের স্বজনদের এ হামলায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নারীসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন ইমরান হোসেন (২২), আব্দুল কুদ্দুস (৭৫), ইসমাইল হোসেন (৫৫), রত্না খাতুন (৫০) ও শহিদ (২০)। তাদের প্রথমে তাড়াশ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া ও সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতরা সবাই উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের দিঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের দিঘরিয়া গ্রামে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বারুহাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ময়নুল হক।
তিনি জানান, আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা সুস্থ হয়ে এলে উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি মীমাংসা করা হবে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার দিঘুরিয়া গ্রামের সিদ্দিক হোসেনের মেয়ে শাম্মি খাতুন একটি কুকুর পোষেন। কুকুরটি পাড়া প্রতিবেশীদের বিভিন্ন সময়ে কামড়ায় এবং ভয় দেখায়। এরই ধারাবাহিকতা গত সোমবার প্রতিবেশী মো. ইসমাইল (৬০) ও মো. কুদ্দুস (৭৫) নামাজ পড়তে গেলে শাম্মির পোষা কুকুরটি তাদের তাড়া করে। যা নিয়ে ইসমাইল হোসেনের ছেলে শহিদ হোসেন কুকুর মালিক শাম্মীর ভাই সাগরকে কুকুরটি সামলানোর জন্য অনুরোধ করেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
একপর্যায়ে শাম্মীর ভাই সাগর স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে লাটিসোঁটা নিয়ে শহিদের ওপর হামলা চালান। এ সময় শহিদের স্বজনরা খবর পেয়ে শহিদকে রক্ষা করতে এলে তাদের ওপরও হামলা করা হয়। এতে শহিদসহ ইমরান হোসেন, আব্দুল কুদ্দুস, ইসমাইল হোসেন, রত্না খাতুন আহত হন। পরে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে তাড়াশ থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে কোনো অভিযোগ এখনও পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন