উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:৪৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চরাঞ্চলে আলুর বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

কৃষকরা জমিতে নারী-পুরুষ শ্রমিকদের দিয়ে আলু তুলছেন। ছবি : কালবেলা
কৃষকরা জমিতে নারী-পুরুষ শ্রমিকদের দিয়ে আলু তুলছেন। ছবি : কালবেলা

কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিস্তার চরাঞ্চলে আগাম জাতের আলু তুলতে শুরু করেছেন চাষিরা। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার কম উৎপাদন খরচে আলুর বাম্পার ফলন ও বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা আগাম জাতের আলু চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন। ফলনে ও দামে খুশি কৃষকরা। জমি থেকে পাইকাররা ৪৩ টাকা কেজি দরে আলু কিনে নিয়ে যাচ্ছে। বাজারে খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এবারে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৩০ হেক্টর। এ পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে ১ হাজার ৯০ হেক্টর। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫০ হেক্টর বেশি। এ ছাড়া আলু চাষিদের বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই ও পোকামাকড় নিধন সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া অব্যহত রয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার তিস্তার চরে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আগাম জাতের আলু তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন আলু চাষিরা। তারা জমিতে নারী-পুরুষ শ্রমিকদের দিয়ে সারা দিন আলু তুলছেন। আবার কোথাও জমিতেই আলু তুলে পাইকারি দামে বিক্রি করছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারি দামে আলু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন পাইকাররা। আলুর বাম্পার ফলনে ও দামে খুশি কৃষকরা। তারা বলেন, এবারে আলু চাষে দ্বিগুণ লাভ হবে।

তিস্তা চরের আলু চাষি রোস্তম আলী (৬৫) জানান, এবারে আলু চাষ করেছেন প্রায় ২ একর জমিতে। এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আলুর আশা করছেন প্রায় ৩শ মণের। বর্তমান বাজারে পাইকারিতে আলু মণ প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৭শ টাকা। ৩শ মণ আলুর মূল্য হয় প্রায় ৫ লাখ টাকা। খরচ হওয়ার পরেও লাভের আশা করছেন প্রায় আড়াই লাখ টাকার।

এ ছাড়াও তিস্তার চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার আলু চাষিদের মধ্যে ছক্কু মিয়া, ফুল মিয়া ও আব্দুল মতিনসহ আরও অনেকে বলেন, এবারে আগাম জাতের আলুর ফলন ও দামে অনেক খুশি। তারা আরও জানান, এবারে বন্যা হওয়ায় জমিতে পলি পড়ে স্তর সৃষ্টি হয়েছে। ফলে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এবারে অনেক লাভবান হবেন বলে জানান তারা।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, কৃষকরা ফসলের মাঠ থেকে আগাম জাতের আলু উত্তলন শুরু করেছেন। আলু চাষিদের কৃষি অফিস থেকে সবধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আগাম জাতের আলুর ফলন তুলনামূলক কম হয়, তারপরেও এবার ফলন ভালো হয়েছে। কৃষকরা বর্তমান বাজারে আলু দাম বেশ ভালো পাচ্ছেন। এর পরের মৌসুমে আগাম জাতের আলু লাগানোর জন্য কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন বলেন, বিশেষ করে তিস্তার চরাঞ্চলে আগাম জাতের আলু চাষিরা ৫৫ থেকে ৬০ দিনে আলুর ফসল উত্তোলনের পর আবার তারা ভুট্টা লাগাবেন। এবারে তিস্তার চরাঞ্চলে বন্যা হওয়ায় জমিগুলোতে পলির স্তর পড়েছে। সে কারণেই আলুর ফলন অনেক ভালো হয়েছে। বাজারে আলুর দাম ভালো থাকায় আগাম জাতের আলু চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফুটবল মাঠে আবারও মুখোমুখি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা

শনিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘অস্ট্রেলিয়া এডুকেশন এক্সপো-২০২৫’

বিএনপির উপজেলা কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি

খুলনা বিভাগের উন্নয়নে পাঁচ দফা দাবি

জাতীয় বাস্কেটবল চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতল এআইইউবি 

স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা প্রশ্নাতীত : গোলাম পরওয়ার

জাল টাকার কারখানার সন্ধান, যুবক গ্রেপ্তার

ভূমিকম্পে কোথাও আটকা পড়লে যা করবেন

ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশের মিথিলা

ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

১০

কেয়ামত কি শুক্রবারেই সংঘটিত হবে, যা বলা হয়েছে হাদিসে

১১

ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে তাইজুল, ছুঁয়ে ফেললেন সাকিবকে

১২

ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগুন

১৩

পাকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ৩০ সন্ত্রাসী নিহত

১৪

ভূমিকম্প আতঙ্কে কর্মচারী ভবনে আশ্রয় নিলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

১৫

সেনাকুঞ্জে যাবেন খালেদা জিয়া

১৬

২৬৫ রানে অলআউট আয়ারল্যান্ড, ফলোঅনে না ফেলে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

১৭

ভূমিকম্প / ঘোড়াশালসহ যেসব বিদ্যুৎকেন্দ্র সাময়িক বন্ধ

১৮

কিছু মানুষ ভূমিকম্প টের পায় না কেন?

১৯

নতুন রানিকে স্বাগত জানাল মিস ইউনিভার্স

২০
X