লালমনিরহাটে পাটগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত। ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে নেমেছে তাপমাত্রা। ফলে শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। ঘনকুয়াশায় আছন্ন হয়ে আছে গোটা জনপদ। দুপুর পর্যন্ত দেখা মিলছে না সূর্যের।
এ অবস্থায় সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীত ও ঠান্ডার কারণে কাজে বের হতে পারছে না তারা। উত্তরীয় হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে শীতকষ্টে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী চরের বাসিন্দারা।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে। দিনের বেলায় সহসা সূর্যের দেখা না মেলায় তীব্র শীতে ভোগান্তি বেড়েছে জনজীবনে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে ঘনকুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে রাস্তা-ঘাট, লোকালয়। সেই সঙ্গে হিমেল বাতাসে জবুথবু অবস্থা মানুষের। কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে নিম্ন আয়ের লোকজনের। রাতে বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় দুর্ভোগে পড়েছে বয়স্ক ও শিশুরা।
ট্রাক ড্রাইভার মাসুম মিয়া বলেন, ঘনকুয়াশায় কারণে রাতে গাড়ি চালানো যাচ্ছে না। এমনকি দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাচ্ছি।
লালমনিরহাট জেলা পাটগ্রাম উপজেলার রিকশাচালক আলমগীর হোসেন বলেন, রিকশার হাতলে হাত রাখা যায় না। হাত-পা নিঃস্তেজ হয়ে যায়। খুব কষ্টে একবেলা রিকশা চালাচ্ছি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান জানান, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত লালমনিরহাট ও এর আশপাশের এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুই একদিনে এ তাপমাত্রা আরও কমে দশ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামার সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন