কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:৪৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা, সেখানে পাঁচ দিনেও দেখা নেই সূর্যের

শীতে জবুথবু এক বৃদ্ধ। তবু জীবনের তাগিদে ঘরের বাইরে যেতে হচ্ছে। ছবি : কালবেলা
শীতে জবুথবু এক বৃদ্ধ। তবু জীবনের তাগিদে ঘরের বাইরে যেতে হচ্ছে। ছবি : কালবেলা

কুড়িগ্রামে হিমেল বাতাসে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। সে সঙ্গে কুয়াশায় ঢেকে আছে চারপাশ। রাতে ও সকালে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। টানা পাঁচ দিনেও দেখা মিলছে না সূর্যের। এতে তীব্র ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের দিনমজুর ও সাধারণ মানুষ। ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এ অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন খুব একটা ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে হিমেল বাতাস থাকায় তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।

এদিকে গত দুই সপ্তাহ ধরে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠা-নামা করছে। দিনের অধিকাংশ সময় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় সূর্যের উত্তাপ ছড়াতে না পারায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী চরের হাজারো মানুষ।

এ ছাড়া শীত ও ঠান্ডার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।

জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ৩১ শিশু। সব মিলিয়ে হাসপাতালটিতে ৭২ শিশু ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ১২ শয্যার বিপরীতে ভর্তি আছে ৫৭ শিশু।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাসা ইউনিয়নের ছোট পুল এলাকার দুলু মিয়া বলেন, ৪-৫ দিন থেকে ঠান্ডায় অবস্থা খুব খারাপ। কোনো কাজ করা যাচ্ছে না। হাত-পা ঠান্ডায় বরফ হয়ে যায়। রাতে ও সকালে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। আমরা যারা ছোট খাটো কর্ম করে খাই, তারা সবাই কষ্টে আছি।

কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার কাঠমিস্ত্রি সৈয়দ আলী বলেন, ‘খুব ঠান্ডা, কাজ করতে পারছি না। খুব একটা সমস্যাত পড়ি গেছি ঠান্ডার জন্যে। এক দিন কাজ হয় তা, আর একদিন নাই। কুয়াশা না বৃষ্টি বুঝি না।’

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, তাপমাত্রা আরও কয়েক দিন এমন থাকবে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে এ মাসে আরও একটি শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, এ জেলাটি হিমালয়ের কাছে অবস্থান হওয়ায় এখানে ঠান্ডার প্রকোপ একটু বেশি। হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিতে আসছেন অধিকাংশই চরাঞ্চলের মানুষ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সোমবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

জেনে নিন আজকের নামাজের সময়সূচি

এলোপাতাড়ি কুপিয়ে স্ত্রীকে হত্যা

ক্যাশমেমো নেই, খুচরা বাজারে দ্বিগুণ দাম কাঁচামালে

রামপুরায় ভবনের ৬ তলা থেকে পড়ে রডমিস্ত্রির মৃত্যু

কুড়িয়ে পাওয়া ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ফেরত দিলেন ভ্যানচালক

বুড়িগঙ্গা থেকে লাশ উদ্ধার / ৪ জনকেই হত্যা করা হয়েছে, ধারণা পুলিশের

ওসির বদলির খবরে মোহাম্মদপুর থানার সামনে মিষ্টি বিতরণ স্থানীয়দের

বিএনপি নেতা আব্দুস সালামের চিকিৎসার খোঁজ নিলেন ডা. কাঁকন 

সিপিএলে ইতিহাস গড়ে ফ্যালকনসকে জেতালেন সাকিব

১০

নতুন ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন / মাত্র ১০০ টাকায় করা যাবে দক্ষতা, চাকরি কিংবা ভর্তি প্রস্তুতির কোর্স

১১

সড়কের মাঝখানে গাছ রেখেই ঢালাই সম্পন্ন 

১২

বুটেক্স সাংবাদিক সমিতির ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

১৩

টানা ৮ ঘণ্টা অবরুদ্ধ জবির ভিসি

১৪

৬৪ জেলার নেতাকর্মীদের নতুন বার্তা দিল এনসিপি

১৫

ম্যানইউর জয়হীন ধারা অব্যাহত, এবার ফুলহামের মাঠে ড্র

১৬

ব্র্যাক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা-পেশাজীবীদের নিয়ে ‘আগামীর পথ’ অনুষ্ঠিত

১৭

প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের অনন্য কীর্তি

১৮

জুলাই যোদ্ধা শহীদ তানভীরের চাচা খুন

১৯

ভরা জোয়ারে ডুবে যায় বিদ্যালয়, শঙ্কায় অভিভাবক-শিক্ষার্থী

২০
X