কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলছে দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম। উপজেলার জোড্ডা পূর্ব ইউপির দক্ষিণ শ্রীহাস্য নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার ১০টি শ্রেণি কক্ষ জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি পড়ে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই ও শিক্ষাসামগ্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির সীমানা প্রাচীর নির্মাণ না করায় গরু, ছাগল, কুকুর, শিয়ালের বসবাস। এ প্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৬ শতাধিক। কিন্তু শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও শিক্ষার মানবৃদ্ধি পেলেও পায়নি সুন্দর পরিবেশ। সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন হলেও ৪১ বছর অতিক্রম করার পরও এখনও টিনের ঘরে চলে কোনো রকম পাঠদান। এ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের বসার স্থানও নেই। চেয়ার-টেবিল, দরজা-জানালা ভাঙা।
নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা মোশাররফ হোসেন বলেন, মাদ্রাসাটি ১৯৮৩ সালে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার দুই বছর পর এমপিওভুক্ত হয়। ৪১ বছরেও মাদ্রাসাটি সরকারি তেমন কোনো অনুদান না পাওয়ায় উন্নয়ন কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বর্ষাকালে মাদ্রাসাটিতে পানি পড়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসামগ্রী নষ্ট হচ্ছে। বর্তমান মাদ্রাসার গর্ভনিং বডির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুউদ্দিন কালু দায়িত্ব গ্রহণ করার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫ লাখ টাকা অনুদান দেন। বর্ষা আসার আগে মাদ্রাসার জরাজীর্ণ টিনের ঘর অপসারণ করে পাকা ভবন নির্মাণ করার দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা শিক্ষানুরাগী সদস্য মো. শাহাদাত হোসেন জানান, মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অনেক ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অল্প সময়ের মধ্যে পাকা ভবন ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ না করা হলে শিক্ষাব্যবস্থা ব্যাহত হবে।
এ ব্যাপারে রোববার নাঙ্গলকোট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন বলেন, মাদ্রাসাটি পাকাকরণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন