জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের উচ্চমান সহকারী শফিকুল ইসলাম ওরফে লিটনের বিরুদ্ধে একসঙ্গে দুই প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে।
দীর্ঘ দশ বছরের অধিক সময় ধরে তিনি আশেক মাহমুদ কলেজে কর্মরত ছিলেন। গত বছরের নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে জামালপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান সহকারী হিসেবে যোগদান করেন লিটন।
অভিযোগ আছে, নতুন কর্মস্থলে যোগদানের পর থেকে অনিয়মিত অফিস করছেন তিনি। কর্মঘণ্টার বেশিরভাগ সময় তিনি সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজে কাজ করেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিনি বালিকা বিদ্যালয়ে নেই। তার সহকর্মীরাও কিছু জানেন না।
শফিকুল ইসলাম লিটনের এক সহকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘লিটন প্রভাতী শাখার প্রধান সহকারী হিসেবে যোগদান করলেও তিনি তার ইচ্ছেমতো অফিস করেন। মন চাইলে আসেন, আবার চলে যান।’
গতকাল তিনি ছুটি নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে জামালপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান জানান, শফিকুল ইসলাম আমার কাছ থেকে ছুটি নেননি, হয়তো কাউকে বলে ছুটিতে গেছেন।
এ বিষয়ে লিটন কালবেলাকে জানান, আমি ছুটি নিয়ে ঢাকা আছি। ছাত্রী বদলিতে অর্থ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি পুরোপুরি অস্বীকার না করে বলেন, কারও কাছ থেকে টাকা চেয়ে নেইনি। যে যার মতো ময়মনসিংহে যাতায়াতের খরচ দিয়ে থাকে।
নিয়মিত অফিস না করার বিষয়ে তিনি জানান, এখানে কাজ কম তাই পুরো সময় অফিসে থাকা হয় না। তাছাড়া আমি দীর্ঘদিনের কর্মস্থল আশেক মাহমুদ কলেজে ফিরে যেতে চেষ্টা করছি।
সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজে খোঁজ নিতে গেলে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর শিউলি ইয়াসমিন বলেন, শফিকুল ইসলাম লিটন এ কলেজের প্রধান সহকারী।
এদিকে দায়িত্বে না থেকেও শফিকুল ইসলামের কলেজে কাজ করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের অধ্যক্ষ হারুনুর রশীদ।
অপরদিকে কলেজের প্রধান সহকারীর দায়িত্ব পাওয়া মিজানুর রহমান সুমন বলেন, আমি হিসাব শাখায় কাজ করি। প্রধান সহকারীর কাজের বিষয়টি অধ্যক্ষের এখতিয়ার।
মন্তব্য করুন