ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ‍্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:২০ পিএম
আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:২৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শীতে বেড়েছে শিশুদের ডায়রিয়ার প্রকোপ

বেড না পেয়ে হাসপাতালের ছাদে রোগীদের ভিড়। ছবি : কালবেলা
বেড না পেয়ে হাসপাতালের ছাদে রোগীদের ভিড়। ছবি : কালবেলা

উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হিমেল হাওয়ার সঙ্গে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় গত দুই সপ্তাহে উপজেলায় শিশুদের ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে জ্বর, সর্দি ও কাশি। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। ভূরুঙ্গামারী সদর হাসপাতালে শিশু ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় উপজেলা সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে অনেক লোক ভিড় করেছে। তাদের অনেকেই ঠান্ডাজনিত সর্দি, জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত। বয়স্কদের অনেকেই শ্বাসকষ্ট, শিশুরা নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে এসেছে। অপরদিকে হাল্কা রোদে হাসপাতালের ছাদে ভর্তিকৃত শিশুদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. রাজু মিয়া জানান, গত এক সপ্তাহ থেকে শিশু ডায়রিয়ার রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি ) হাসপাতালে ২৩ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। যার মধ্যে ২১ জন শিশু। শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১১টা পর্যন্ত ৬ জন শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুদের কলা ও চিড়া খাওয়ার ব‍্যবস্থা করা হয়েছে।

শীতে বাচ্চাদের প্রতি বিশেষ যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এই সময়টাতে শিশুকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে। শীত বেশি পড়লে শিশুকে গরম কাপড় পরাতে হবে। শিশুদের খুব বেশি সময় ঘরের বাইরে রাখা যাবে না।

গোপালপুর গ্রাম থেকে আসা খোকন মিয়া বলেন, আড়াই বছরের সন্তান ইব্রাহিমের পাতলা পায়খানা ও বমি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করেছি। কোনো বেড ফাঁকা না থাকায় ছাদে চিকিৎসা নিচ্ছি।

আব্দুল বাতেন (৬০) জানান, শীতে শ্বাসকষ্ট ও অ্যাজমার সমস্যা বেড়েছে। তাই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছি।

জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম বলেন, শীতজনিত রোগের প্রকোপ একটু বেড়েছে। অন্যান্য রোগীর তুলনায় শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেশি। স‍্যালাইন যাতে নষ্ট না হয় তাই সরবরাহের ক্ষেত্রে একটু কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। শিশুদের প্রথমে ১০০ ও পরে ২০০ এমএল স‍্যালাইন সরবরাহ করা হচ্ছে। হাসপাতালে ওষুধ ও স‍্যালাইনের কোনো সংকট নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নিঃশব্দে থাইরয়েড ক্যানসার বাড়ছে না তো? জানুন ৫ লক্ষণ

মানবতাবিরোধী অপরাধ হলে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার ট্রাইব্যুনালে হবে : চিফ প্রসিকিউটর

আমরণ অনশনে বসলেন এনসিপি নেতা জাহাঙ্গীর

ডা. জাহিদের বক্তব্য ছাড়া খালেদা জিয়ার সংবাদ প্রকাশ না করার আহ্বান

তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে যা বললেন আইন উপদেষ্টা

ডিজিটাল কমার্স অব দ্য ইয়ার পুরস্কার পেল দারাজ বাংলাদেশ

যুবলীগ নেতার কয়েক কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক করল দুদক

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন কার্যক্রম স্থগিত

মেট্রোরেল-এনেক্স কমিউনিকেশনস লিমিটেডের চুক্তি স্বাক্ষর

আগুনে পুড়ে যাওয়া কড়াইলবাসীর পাশে দাঁড়াল দেশবন্ধু গ্রুপ

১০

যে ৪ ধরনের মানুষের জন্য চিয়া সিড বিপজ্জনক

১১

বিদ্যুৎ উৎপাদনে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের রেকর্ড

১২

শরীয়তপুরে প্রথম নারী পুলিশ সুপার রওনক জাহান

১৩

বাবা বেঁচে আছে কিনা জানি না, ইমরান খানের ছেলে

১৪

যারা ভোট দিতে পারবেন না, জানালেন ইসি সচিব

১৫

মোহাম্মদপুরে আবাসিক ভবনে আগুন

১৬

চকবাজারে আবাসিক ভবনে আগুন

১৭

খালেদা জিয়ার জন্য দোয়ার আহ্বান জামায়াতের

১৮

গোসল করতে নেমে প্রাণ গেল তামিমের

১৯

চলন্ত যানবাহনে নামাজ আদায় করার সঠিক নিয়ম

২০
X